বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, বাংলার মানুষ আজ শান্তি চায়, স্বস্তি চায়। অবিলম্বে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে দেশের শাসনভার তুলে দেওয়ার দাবী এখন গণদাবীতে পরিণত হয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। পতিত সরকারের দোসরদের ছাড় দেয়া যাবে না। তাদের কারণে দ্রব্যমূল্য আজ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আগামী রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন,পতিত সরকারের অনেক দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাদের কারণে আজকে দেশের এই অবস্থা। আজকে নিত্যপণ্যের বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে উঠেন। আওয়ামী লীগের লুটপাটের কারণেই দেশের আজ এই অবস্থা। আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে হবে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে হস্তান্তর,নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সহনীয় রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্র নিয়ে পতিত ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত মোকাবেলার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এসব কথা বলেন। বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের পুরাতন বাস স্টেশনে আয়োজিত সমাবেশ তিনি এই আহবান জানান। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন’র সভাপতিত্বে ও আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আব্দুল হক, এডভোকেট মল্লিক মঈন উদ্দিন আহমেদ সোহেল, এডভোকেট শেরেনুর আলী, রেজাউল হক, সেলিম উদ্দিন আহমদ, আতম মিসবাহ, মোঃ নজরুল ইসলাম, আবুল মনসুর শওকত, মুনাজ্জির হোসেন সুজন, এডভোকেট জিয়াউর রহিম শাহীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক, ফারুক আহমদ, কামরুজ্জামান কামরুল, আব্দুল মোতালেব, জেলা যুবদলের সভাপতি আমিনুর রশীদ আমিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামনুর রশীদ কয়েস ও জেলা ছাত্রদল আহবায়ক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমসহ জেলার ১২ উপজেলা ও ৪ পৌরসভা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে পূর্বঘোষিত এই সমাবেশে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দলে দলে সমবেত হন। শেষ পর্যন্ত সমাবেশটি একটি বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়।