টাংগাইলে ধনবাড়ী উপজেলায় পান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। অন্যান্য ফসলের তুলনায় পান চাষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন পান চাষে ঝুঁকছেন। সারা বছরই পানের চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। ধনবাড়ীর উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করা হচ্ছে। টাংগাইলে ধনবাড়ী উপজেলাতে পান চাষ লাভ জনক হওয়ায় পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। নিজেদের পানের বরজে ভালো ফলনে বেশি লাভের আশা করছেন চাষিরা। তিন থেকে চার মাসে উৎপাদিত এই পান চাষ নতুন মাত্রা যোগ করেছে এখানকার অর্থনীতিতে। যা এই এলাকার পানের চাহিদা অনেকটাই মেটাতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন পান চাষীরা। পান চাষের একটি সম্ভাবনাময় এলাকা ধনবাড়ী উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়নের পান বাজার। এখানকার জমি পান চাষের উপযোগী হওয়ায় পান চাষে ঝুঁকে পড়েছেন পান চাষীরা। পান বাজার রাস্তার পাশে তাকালেই চোখে পড়ে ছোট বড় অনেক পানের বরজ। এখানে প্রায় ২০ থেকে ৩০টি পানের বরজ রয়েছে। পান চাষিদের বলেন,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তারা পরামর্শ বা সহযোগিতা পান। তবে যদি সরকারের পক্ষ থেকে এই পান চাষের জন্য কৃষি উপকরণ,কৃষি সহায়তা ঔষধ, সার, কীটনাশক তারা পায় তবে পানের উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাবে বলে তারা আশাবাদী। পান বাজার এলাকার কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি ও তার ছেলেরা মিলে প্রায় ১ বিঘা জমিতে পানের বরজ করেছেন। এবার তিনি একই জমিতে শ্রম ও খরচ করেছেন ৫০ হাজার টাকা যার বিপরীতে পান বিক্রী করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকার। পান চাষীদের মধ্যে শ্রী নিতাই বাবু, অশোক, সঞ্জয়, সুমন ও সুজনসহ বেশ কয়েকজন পানচাষি জানান, তারা এই চাষে লাভবান হচ্ছেন। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পান চাষ করে বেশী মুনাফা অর্জন করছেন। এ কাজের সাথে জড়িত শ্রমিকেরাও লাভবান হচ্ছে। পান চাষের উপযুক্ত সময় বাংলা বৈশাখ মাস। তাই বৈশাখের শুরুতেই উঁচু জমিতে সারিবদ্ধ ভাবে পানের চারা রোপন করা হয়। জমি থেকে পানি সহজেই বের হওয়ার জন্য করা হয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা ।
প্রখর রোদের তাপ থেকে চারা বাঁচাতে বাঁশ ও খড়ের সাহায্যে মাচা দেওয়া হয়। ৬ থেকে ৭ ফুট ওপরে শাওন দেওয়া হয়। পান চাষীরা মনে করেন কৃষি অফিসের সহযোগীতায় (অথাৎ সুপরামর্শ ও প্রণোদনা) পান চাষ আরো বাড়ানো সম্ভব। পান চাষ নিয়ে কথা হয় ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান এর সাথে তিনি বলেন, উপজেলার ১৭ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হচ্ছে। পান চাষে তাদেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে সুপরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অথাৎ সাধ্যানুযায়ী সব কিছুই করা হচ্ছে।পানচাসীদের জন্য যদি সরকারি কোন বরাদ্দ আসে তাহলে তারা অবশ্যই পাবে বলে তিনি জানান।