এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্রাউনকে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এমনকি সিনেটে তার উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করা হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ও এয়ারফোর্স জেনারেল চার্লস কিউ. ব্রাউনকে বরখাস্ত এবং পাঁচজন অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে পেন্টাগনের নেতৃত্বে এসেছে নজিরবিহীন রদবদল। খবর রয়টার্স।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে জানান, তিনি ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত করার জন্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ড্যান ‘রেজিন’ কেইনকে মনোনীত করবেন। এই পদক্ষেপও ব্যতিক্রমী, কারণ এর আগে কখনোই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ট্রাম্প মার্কিন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঙ্কেটিকেও পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন, যিনি প্রথম নারী হিসেবে সামরিক বাহিনীর কোনো শাখার নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি, এয়ারফোর্সের ভাইস চিফ অব স্টাফকেও সরিয়ে দেয়া হবে। তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর বিচারপতি অ্যাডভোকেট জেনারেলদেরও বরখাস্ত করছেন বলে জানা গেছে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে শুরু হলো পেন্টাগনে অস্থিরতার নতুন পর্ব। সেখানে এরইমধ্যে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক কর্মচারী বরখাস্ত হয়েছেন। বাজেটে আনা হয়েছে নাটকীয় পুনর্গঠন এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ পররাষ্ট্রনীতির অধীনে সামরিক কর্মকর্তাদের মোতায়েনের বিষয়টিতেও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। পেন্টাগনের বেসামরিক নেতৃত্ব সাধারণত প্রশাসন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। তবে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মধারী সদস্যরা সাধারণত নিরপেক্ষ থাকেন এবং ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় প্রশাসনের নীতি বাস্তবায়ন করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ কর্মকর্তা ছিলেন ব্রাউন। ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার চার বছরের মেয়াদ পূরণ করার কথা ছিল তার। এ প্রসঙ্গে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্রাউনকে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এমনকি সিনেটে তার উত্তরসূরি নিশ্চিত হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করা হয়নি। রয়টার্স প্রথম গত নভেম্বরেই জানিয়েছিল যে, আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পদগুলোয় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। যার মধ্যে ব্রাউনকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনাও ছিল।