২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের নেতারা। সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থ গ্রহণ করতে হবে। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। গতকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখার উদ্যোগে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এই হুঁশিয়ারি দেন। এতে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথচলা ও তরুণদের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা একটি ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতিকে নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে নিয়েছে। বৈষম্য, দমন-পীড়ন ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এই আন্দোলনে তরুণ প্রজন্ম অসাধারণ সাহস ও নেতৃত্বের গুণাবলী প্রদর্শন করেছে। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তর্বতীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে।
তরুণদের অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, দেশজুড়ে তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, লুটপাট হওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধার, বাজার নিয়ন্ত্রণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা কমিটি ঘোষণা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনাসমূহ তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সংবিধান পুনর্গঠনে সরকারকে সহযোগিতা প্রদান।
অর্থনীতি পুনর্গঠন ও লুণ্ঠিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধারে সহযোগিতা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশে থাকা। বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনে স্বচছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় তরুণদের রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সদ্য ঘোষিত আহবায়ক রিজাউর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ, মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজা, উত্তর জেলা আহ্বায়ক ইয়াছির আরফিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক জোবাইর হোসেন প্রমুখ।