শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

শেরপুরে সরিষার বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

জাহিদুল খান সৌরভ শেরপুর
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জেলায় চলতি বছর সরিষার অধিক ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে সরিষা কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। সরিষার অধিক ফলনে খুশি কৃষক। কৃষি বিভাগ জানায়, শেরপুরে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরন কর্মসূচির আওতায় ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে ১৮ হাজার ৭’শ ৬১ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে ও ভালো ফলন হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৯ হাজার ৬৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। চলতি বছর ২০২৩-২৪ রবি মৌসুমে জেলায় উচ্চ ফলনশীল জাতের টরি -৭, বারি সরিষা- ৯, বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭ এর চাষ বেশি হয়েছে। এবছর ২৯ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হবে। কৃষি বিভাগ আরো জানায়, জেলায় সমতল ভূমির পরিমাণ বেশি। একারণে একই জমিতে একই ফসল বারবার চাষ করলে জমির উর্বরতা হারায়। সেকারণে জমির উর্বরতা বাড়াতে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এছাড়া এবছর জেলায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জেলার প্রায় ৫০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার এবং সরিষা বীজ প্রদান করা হয়েছে। এবছর যে পরিমাণ সরিষা উৎপাদন হবে তা জেলার শতকরা ৭০ ভাগ তেলের চাহিদা পূরণ করবে। পাশাপাশি সরিষার ক্ষেতের খালি জমিতে শত শত মৌ বক্স স্থাপন করেছিল ভ্রাম্যমাণ মৌচাষীরা। যেখানে প্রায় ১১ হাজার কেজি মধু আহরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। যার বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। জেলা সদরের গাজীরখামার ইউনিয়নের শালচূড়া কৃষক জাবেদ মিয়া(৪৮) জানান, আমন ধান কাটার পর পতিত জমিতে সরিষা চাষ একটি লাভজনক ফসল। জাত ভেদে সরিষা চাষে বিঘা প্রতি খরচ ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ফলন ৫ থেকে ৭ মণ এবং মণপ্রতি সরিষার বাজারদর ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। খরচ বাদে বিঘায় লাভ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। একই গ্রামের কৃষক রাসেল মিয়া(৩৫) বলেন, আগে আমাদের গ্রামের জমি দুই ফসলি ছিল। সরিষা চাষে এসব জমিতে বর্তমানে তিনটি ফসল আবাদ করা যায়। যেমন রোপা আমন ধান কাটার সাথে সাথেই আমরা সরিষার চাষ করে থাকি। সরিষা মাড়াই শেষে আমরা বোরো ধান আবাদ করি। এতে ফসলের কোন ক্ষতি হয় না বরং খরচ কম এবং লাভ বেশি। সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম খোকন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার অধিক ফলন হয়েছে একই সাথে ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো.হুমায়ুন কবীর জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর জেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে। কৃষকরা ন্যায্য দাম পেলে একদিকে যেমন সরিষা চাষে আগ্রহী হবে অন্যদিকে ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমবে। এছাড়া আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে জেলার কৃষকরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com