বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার পরিবর্তনে বিএনপি গণজাগরনের প্রত্যাশা করছে । দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘দলের লক্ষ্য অর্জনে, কোথা মৃত্যু হবে কোথায় হবে না সেটা নিয়েও বিএনপির নেতৃবৃন্দ ভাবে না।’ ‘তারা শুধু একটা সুযোগ একটা পরিবেশের অপেক্ষায় আছে, একটি গণজাগরণের মধ্যে এই সরকারকে বিদায় দিযে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র একাত্তরের যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকের তরুন সমাজকে বলব, আগামী দিনটা আপনারদের। আপনাদের বয়সে আমরা বাংলাদেশ কেমন দেখব সেই কারণে একাত্তর সালে যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু যে বাংলাদেশ দেখতে েেচ্য়ছিলাম সেই বাংলাদেশ দেখতে পারিনাই এখনো। সেই বাংলাদেশ দেখার যে লড়াই সেই লড়াইয়ে আপনাদের পাশে আমর আছি।’ ‘আমরা সামনে থাকতে বললেও আছি, পিছে থাকতে বললেও আছি। অর্থাত আমরা কখনোই আপনাদের ছেড়ে যাবো না।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের নিষেধ আছে- যার জন্মদিন পালন করছি স্বয়ং তার পক্ষ থেকেও আহবান আছে যে, কেক কাটা নয়। দোয়া এবং পারলে গরীবদের মাঝে কিছু সাহায্য সামগ্রি দেওয়া। কিন্তু আবেগ তো এই নিষেধ মানে না।’ ‘আজকে কম হলেও ১০ হাজার কেক কাটা হবে। কারণ আবেগের জায়গায় কিন্তু বাস্তবতা পরাজিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদের একমাত্র ঠিকানা তারেক রহমান। খালেদা জিয়া আজকে জেলবন্দি থেকে তিনি আজকে গৃহবন্দি। এই যে একটি অবস্থা এই অবস্থা থেকে অতিক্রম করতে পারে এই তরুন সমাজ ও যুব সমাজ যারা যুগে যুগে পরিবর্তন ঘটিয়েছে।’ ‘আগামী দিনটা কিন্তু আজকের যুবকদের, আজকের তরুনদের। সেকারণে আগামী বাংলাদেশটা কেমন হবে, কেমন দেখতে চ্না তার জন্য আপনারা সক্রিয় হয়ে আপনারা আগামী বাংলাদেশটা বিনির্মানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। যার অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেবেন অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে সেটা জনাব তারেক রহমান। আজকে থেকে আমরা চেষ্টা করি আগামী দিন যেন আমাদের তার নেতুত্বে, তার উপস্থিতিতে জন্মদিন পালন করতে পারি।’ কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের পরিচালানায় দোয়া মাহফিলে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান বক্তব্য রাখেন।
দোয়া মাহফিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আমিনুল হক, মীর সরফত আলী সপু, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হারুনুর রশীদ, অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, সাদেক আহমেদ খান, কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, নজরুল ইসলাম তালুকদার, এসকে সাদী, মেহিদী হাসান পলাশ, আবদুর রহিমসহ কয়েক‘শ নেতা-কর্মী অংশ নেয়।
‘মহানগরের ৫৬ পাউন্ডের তিনটি কেক’: নয়া পল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে তিনটি কেক কাটেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও মহানগর দক্ষিনের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহসভাপতি ইউনুস মৃধা।
বিকাল সাড়ে তিনটায় সুপ্রিম আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করবে। এতে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল। ১৯৬৫ সালের ২০ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহন করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে দলের দোয়া মাহফিল ছাড়া আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি নেই। তারেক দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন উলামা দলের আহবায়ক শাহ নেছারুল হক।