সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় উপকুলের মানুষ নানান প্রতিকুলতার মধ্যে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকে কাপাসিয়ায় ৫০ জন সহকারী শিক্ষকের যোগদান : ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে ইসলামী যুব মজলিসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক এবং সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে সনাক-টিআইবির মানববন্ধন ফটিকছড়িতে ইফতার মাহফিলে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন আমরা ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই মাদারীপুরে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেয়া হবে জামালপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা নওগাঁয় ২৫০ জন কুরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা

তানজিন তিশার প্রশ্ন ৭ মাস পর আলামিনের লাশ তুলে কী লাভ,

বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দীর্ঘ ৭ মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী ও জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ আলামিনের লাশ। গত সোমবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এবং উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে আলামিনের লাশ উত্তোলন করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে তানজিন তিশা ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লাশ উত্তোলনের বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না বলে দাবি করেন। নিজের পোস্টে তিশা লিখেছেন, ‘আল আমিন শুধুমাত্র সহকারি নয়, সে আমার ভাই যে আমার সাথে পাঁচটি বছর ছিল। যে ছিল নিষ্পাপ একটি ছেলে এবং সে জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়। সাত মাস পর আল আমিনের মরদেহ কবর থেকে ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি আমি মোটেও সমর্থন করছি না।’
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এই কর্মের মাধ্যমে কি লাভ হবে? শুধুমাত্র ওর আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। পুরো বিষয়টা আমি জানার পর বিষয়টি আমার কাছে মেনে নেয়া অনেক কষ্টদায়ক। এর পেছনে যে বা যারা জড়িত তারা কোন উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে আমি চিন্তা করে খুবই হতবাক। ভাইয়া তুই ভালো থাকিস।’
পরিবার সূত্রে জনা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিতে নিহত হন আলামিন। পরে তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ২০ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। ঘটনার চার মাস পর ডিসেম্বরে নিহতের বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে আলামিনের বাবা আইয়ুব খলিফার সম্মতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে ৭ মাস পর লাশ তোলা হয়েছে শহিদ আলামিনের মরদেহ। মরদেহ উত্তোলনের করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. মুহাম্মদ ইব্রাহীম।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com