পুত্রবধূর স্বীকৃতি আদায়ের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অনশনে বসা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা কুলসুম বেগমের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ষোলহালিয়া গ্রামে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত কুলসুমকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাগালী ইউনিয়নের কুশোডাংগা গ্রামের কুলসুম বেগম একই ইউনিয়নের ষোলহালিয়া গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে আল মামুনের স্ত্রী। গত বছর ২৪শে জুন ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। তবে আমজেদ হোসেন এই বিয়ে মেনে নিতে চাননি। কুলসুম বেগম জানান, বিয়ের পর শ্বশুর আমজেদ হোসেন তাদের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় তিনি কয়রা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে কুলসুমকে আল আমিনের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়ে বাড়িতে তোলার সিদ্ধান্ত হয় এবং একটি লিখিত আপোষনামা সম্পন্ন হয়। কিন্তু এরপরও কুলসুম যখন শ্বশুরবাড়িতে যান, তখন আমজেদ হোসেন তাকে মেনে না নিয়ে তাড়িয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে অন্তঃসত্ত্বা কুলসুম রবিবার ফের শ্বশুরবাড়িতে পুত্রবধূর দাবিতে অনশনে বসেন। এ সময় শ্বশুর আমজেদ হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন কুলসুম ও তার মাকে মারধর করে আহত করে। বর্তমানে আহত কুলসুম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কুলসুম বলেন, আমি আমার স্বামীর অধিকার চাই। প্রশাসনের কাছে এবং সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আমজেদ হোসেন বলেন, সে আমার পুত্রবধূ নয়। তাকে কোনো মারধর করা হয়নি। সে আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়রা ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।