চকরিয়ার বদরখালীতে জমি দখলে নিতে অসহায় লোকের বসতভীটা আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ০৩এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি নুরুল আবছার। উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বাজার পাড়া এলাকার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন মৃত মাওলানা আবুল খাইরের ছেলে নুরুল আবছার। সম্প্রতি সময় থেকে নুরুল আবছারের দীর্ঘ ৬০বছরের ভোগ দখলীয় বসতভীটার ওই জমিটি জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বদরখালী বাজার পাড়ার মৃত নুর আহমেদের ছেলে কুতুব উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ হোসাইন এর ছেলে মোহাম্মদ সুমন, মির কাশেম এর ছেলে নাছির উদ্দীনসহ দখলবাজরা। অভিযুক্তরা রাত দুপুর ২টার দিকে গিয়ে অসহায় আবছারের বসতভীটা আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
আগুনে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ভাথিজির পাঠ্যবইসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমনকি এ ঘটনায় কোন ধরণের মামলা না করতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় নুরুল আবছার চকরিয়া আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মুল মালিক ৫ জন ও বাসা ভাড়া সহ ১৭ পরিবার।বিষয়টি কক্সবাজার জেলা সমবায় অফিসার জহির আব্বাসকে অবহিত করা হলে তিনি বিষয়টি সমাধান করার জন্য স্থানীয় বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির বর্তমান সম্পাদক ও সাবেক চকরিয়া উপজেলা সমবায় অফিসার জাহাঙ্গীর আলমকে দায়িত্ব দেয়া হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের বাজার পাড়ায় অগ্নি কান্ডের পুড়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে মানবতর দিন যাপন করছে। আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় বাড়ি পূণঃ নির্মান করতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রসাশন ও রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক কিছু সহযোগিতা পেলেও তা অপর্যাপ্ত। বাড়ির মালিক আবুল খায়েরের ছেলে নরুল আবছার জানান, গত ০৩এপ্রিল’২০২৫ ইং দুপুর ২টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দিবালোকে অগ্নি সংযোগ করে। মূহুর্তে আগুনের লেলিহান শিকা ছড়িয়ে পডলে এতে পুরো বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাড়ির মালিক নরুল আবছার বলেন, ৮টি ভাড়াটিয়া পরিবার ছিল। প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়। তিনি অভিয়োগ করেন, পুড়ে যাওয়া বাড়ির নিকটে আমার দখলীয় জায়গায় অবৈধ ভাবে বসত বাড়িতে থাকা নাসির উদ্দীন এ অগ্নি সংযোগ করে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি অর্থিক সহয়তার পাশাপাশি আইনগত সহয়তা পাওয়ার দাবি জানান।