চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রথমবারের মত বানিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ চাষ করে সফল হয়েছেন বিমল চন্দ্র দাশ-সেবিকা রানী দাশ দম্পতি। আগামীতে চাষের পরিধি আরো বাড়াবেন তারা। এই কৃষক দম্পতির হাত ধরেই এতদ অঞ্চলে পেঁয়াজ চাষের নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সহযোগিতায় ইছাখালী ইউনিয়নের চরচশরত এলাকায় ১৫০ শতক জমিতে প্রথমবারের পেঁয়াজ চাষে আশা বুনছেন কৃষক দম্পতি বিমল সেবিকা রাণী দাশ। স্বামী একসময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বাগানে কাজ করেছেন শ্রমিক হিসেবে। দেশে ফিরে নিজের বাবার রেখে যাওয়া জমি ও কিছু জমি বর্গা নিয়ে করেন পুরোদমে করেন কৃষি কাজ। তার কাজের অন্যতম সহযোগী স্ত্রী সেবিকা রাণী দাশ। পেঁয়াজের ওজন ১০০ থেকে ১২০ গ্রাম। কৃষক বিমল চন্দ্র দাশ জানায়, গত বছর অল্প জমিতে মাত্র ৭ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে পেঁয়াজ চাষ করে আয় করেন ৩০ হাজার টাকা। তাই এই বছর প্রথমবার বাণিজ্যিকভাবে ৪০ শতক জমিতে চাষ করেছেন পেঁয়াজ চাষে তার কাজে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী সেবিকা রাণী দাশ। শুধু পেঁয়াজ চাষে সীমাবদ্ধ না তারা। পুকুরে মাছ চাষ, পোল্ট্রি মুরগি পালন, রসুন, চাল, সরিষা, ডাল, মরিচ, আলু, মৌসুমি সবজি সবকিছুরই চাষ করেন তারা। কৃষাণী সেবিকা রানী দাশ বলেন, কৃষি আমাদের সবকিছু। স্বামী-স্ত্রী মিলে চাষাবাদ করছি। আমাদের বাজার থেকে কিছু ক্রয় করা প্রয়োজন না। সব জমিতে উৎপাদন হয়। আমরা বাজারে উৎপাদিত বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে থাকি। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে জমি থেকে পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। বেশ ভালো ফলন হয়েছে। বাজারমূল্য ঠিক থাকলে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তারা। মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, এ উপজেলায় সাধারণত পেঁয়াজ খুব ভালো একটা হয় না। গত বছর মশলা উন্নতজাত সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কিছু পেঁয়াজ বীজ দিয়েছিলাম। তারা সফল হয়েছে। এবছর কৃষক বিমল দাদা নিজ উদ্যোগে তাহিরপুরী পেঁয়াজ চাষ আবাদ করেছে। তারা মোটামুটি সফল পেঁয়াজ চাষী। তাদের দেখে উপজেলার অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে পেঁয়াজ চাষের দিকে মনোযোগী হবে।