মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মেয়াদ উত্তীর্ণ শ্রীমঙ্গল পৌরসভা বর্ধিতকরণ ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বর্ধিতকরণ ও নির্বাচন বাস্তবায়ন পরিষদ শ্রীমঙ্গল। গতকাল চৌমুনাহ চত্বরে পৌরসভা বর্ধিতকরণ ও নির্বাচন বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আছকির মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন ফয়েজ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ আলী, আবু সহিদ আব্দুল্লাহ, ডা. হরিপদ রায়, যুগ্ম সম্পাদক এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরফরাজ আলী বাবুল, সদর ইউ‘পি চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, আশিদ্রোণ ইউ‘পি চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন জহর, উপজেলা জাসদের সভাপতি হাজী এলেমান কবীর, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এএসএম ইয়াহিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কদর আলী, জেলা পরিষদের সদস্য বদরুজ্জামান সেলিম প্রমুখ। মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, শ্রীমঙ্গল পৌর নির্বাচন স্থগিত রয়েছে প্রায় ৫ বছর। মামলা জটিলতা দেখিয়ে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কোন নির্বাচন হচ্ছে না। নেতৃত্বর বিকাশ, সুশাসন নিশ্চিত এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রায় সব জটিলতা নিরসন করে দ্রুততম সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাচন দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি পৌরসভার নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু বর্ধিত এলাকা নিয়ে নির্বাচন করার উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্বে ও সীমানা জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেওপৌরসভার নির্বাচন না হওয়ার তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যা ৫ বছর পর পুনরায় নির্বাচনদেয়ার নিয়ম থাকলেও পৌরসভার সীমানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ ৫ বছর একই নির্বাচনে মেয়র ক্ষমতায় রয়েছেন। তাই নির্বাচনের সময় অতিক্রান্ত হলেও মামলা জটিলতার কারণে সময় মতো পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৩৫ সালে ২.৫৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয়েছিল শ্রীমঙ্গল পৌর এলাকা, আজও ২.৫৮ বর্গ কিলোমিটার। এখন পর্যন্ত পৌর এলাকা বর্ধিত করা হয়নি। ইতোমধ্যে দুইবার শহর বর্ধিতকরণের সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন জারী হয়েছিল। প্রথমটি ১ অক্টোবর, ১৯৮১ সালে, দ্বিতীয়টি ১ এপ্রিল, ১৯৯৬ সালে। ২০০১ সালের ১৯ মার্চ পৌরসভা এলাকার সম্প্রসারণ সংক্রান্ত একটি এসআরও জারী করা হয়। কিন্তু সেটা আলোর মুখ দেখেনি।