গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের করতোয়া ও আখিরা নদীর পৃথক ২টি বাঁধ ভাঙনের ফলে শতাধিক পরিবার ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভূক্তভোগীদের মতে বাঁধ ২টি সংস্কার করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে আবারও নদী ভাঙনে বসতবাড়ী, মসজিদ-মাদ্রাসা নদী গর্ভে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, করতোয়া নদীর বাঁধ ভাঙনের ফলে কিশোরগাড়ী, চকবালা, মুংলিশপুর এবং আঁখিরা নদীর বাঁধ ভাঙনের ফলে দিঘলকান্দি, পশ্চিম নয়ানপুর ও জাইতর গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি ২০২০ সালের বন্যায় উল্লেখিত গ্রাম সমূহের কয়েকশত একর ফসলী জমির ও বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পরপর ২ দফা বন্যায় কিশোরগাড়ীর সুলতানপুর ঘাট ও টোংরারদহ নামক স্থানে বাঁধ ভেঙে ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। ফলে ওই এলাকার রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। সেই সাথে উঠতি ফসল, আমন ধান, রবি শস্যের আবাদ ও বীজতলা সহ কাঁচা তরী তরকারী সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এলাকাবাসীর দাবী, আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই বাঁধ ২টি পূনঃনির্মাণ করা না হলে নদী ভাঙ্গনে আগামীতে ফসলী জমি ও বসতবাড়ী নদী গর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মাহাবুব প্রধান জানান, আগামী বর্ষা মৌসুম আসার পূর্বেই এই পরিবারগুলোকে বন্যা ও নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার্থে বাঁধ ২টি পূর্ণনির্মাণ করা প্রয়োজন। এব্যাপারে কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রিন্টুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি সময় ওই এলাকা রক্ষার্থে মাননীয় সংসদ সদস্যকে বন্যার সময় এলাকায় এনে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করিয়েছি। এই এলাকা রক্ষা করতে হলে বাঁধের পুনঃনির্মাণ প্রয়োজন। তবেই এলাকার মানুষ বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে। গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি সম্প্রতি বন্যায় কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে পরিদর্শনে এসে বন্যার্ত মানুষের করুন চিত্র দেখে কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের টোংরারদহ হতে হোসেনপুর ইউপির আমবাগান পর্যন্ত বাঁধ পূনঃনির্মানের প্লানষ্টিমিট তৈরির জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। তাই এ ব্যাপারে এলাকাবাসী, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।