বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

অপরাধীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিন : প্রধানমন্ত্রী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০

অপরাধীদের পরিচয় ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বিবেচনায় না নিয়ে একটি সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য ধর্ষণ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির মতো বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আপনাদের ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাং তৈরি, মাদক, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির মতো কিছু সমস্যার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কারো পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে বরং অপরাধীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করুন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন সে অপরাধী। ‘সুতরাং, অপরাধীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আপনাদের সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে । আমরা চাই আপনারা এটি করবেন,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাকাডেমিতে ১১৬তম, ১১৭তম এবং ১১৮তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রদানকালে গত বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বিসিএস প্রশাসন অ্যাকাডেমির রেক্টর বদরুন নেছা এই কোর্সগুলোর ওপর প্রতিবেদন উত্থাপন করেন। ৭০ পুরুষ এবং ৪৬ নারী, মোট ১১৬ জন ক্যাডার ৩-৫ মাসব্যাপী ট্রেনিং কোর্সে অংশ নেন। করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে কোর্স সম্পন্ন হয় এবং অংশগ্রহণ করা সবাই এতে উত্তীর্ণ হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফরহাদ হোসেন ১১৬তম, ১১৭তম ও ১১৮তম প্রশিক্ষণ কোর্সের যথাক্রমে জিসান বিন মাজেদ, হাফিজুল হক ও তরিকুল ইসলামকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য রেক্টর পুরস্কার হস্তান্তর করেন। তিন প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে বক্তব্য দেন তিন নতুন কর্মকর্তা- জিসান বিন মাজেদ, হাফিজুল হক এবং নুসরাত জাহান (১১৬তম কোর্স)।
সৌদি সহায়তায় ৮ টি বিভাগে ৮ টি আইকনিক মসজিদ নির্মিত হবে: বাসস সূত্রে প্রকাশিত খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সৌদি সহায়তায় দেশের আটটি বিভাগে আধুনিক আধুনিক সব সুবিধা সম্বলিত আটটি “আইকনিক মসজিদ” নির্মিত হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নব-নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান তার সরকারী গণভবনের বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি সহায়তায় উপজেলা পর্যায়ে ৫৬০০ টি মডেল মসজিদ-কাম-ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি সৌদি সহযোগিতায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উন্নয়নের কথাও স্মরণ করেন বলে প্রেস সচিব মো। তার সরকার কৃষিক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবকে কৃষক শ্রমিক সরবরাহ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের বাংলাদেশীদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান রয়েছে।
দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে .তিহ্যবাহী সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় এই বন্ধনকে গুরুত্ব দেয়। “দু’দেশের মধ্যে অনেক খাতে সহযোগিতা রয়েছে,” তিনি বলেছিলেন। সৌদি রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হবে। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনীতি, সুরক্ষা ও জনশক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
আল-দুহাইলান উল্লেখ করেছেন যে দেড় মিলিয়নেরও বেশি বাংলাদেশী তাদের দেশে বিভিন্ন খাতে কাজ করছে। “তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং সৌদি অর্থনীতিতে প্রচুর অবদান রাখছে,” তিনি বলেছিলেন। বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। তিনি বলেন, তাদের সরকার দুই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যবসায়ের প্রচারে সৌদি আরবের বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদেরও স্বাগত জানায়। “সৌদি আরবে বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমরা এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের পূর্ণ সমর্থন করব,” রাষ্ট্রদূত বলেছেন। দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দুর্দান্ত সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আল-দোহাইলান প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন যে, তার আমলে এই সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া তাঁর দায়িত্ব হবে। সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের তীব্র প্রশংসা করেছেন। ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত করোনভাইরাস ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন।
বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে থাকাকালীন তাকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পরে, একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকারটি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কেন্টসিল, প্রেস সচিব জানিয়েছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com