রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে বিএনপির নেতা কর্মীদের কাজ করতে হবে বনশ্রী আফতাব নগর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি বাবলু পন্ডিত, সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৫তম সভা মহানগরী জোন আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের কৃতিত্ব স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আজ ৮৯তম জন্মবার্ষিকী নগরকান্দায় দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ওসি, সাংবাদিকসহ আহত- ৩০ কালীগঞ্জে নানা সংকটে গ্রাম আদালত সুফল পেতে প্রয়োজন কার্যকরী উদ্যোগ কটিয়াদীতে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন, ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ মুন্সীগঞ্জে লুন্ঠিত মালামালসহ ৭ ডাকাত গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বর্ণিল পিঠা উৎসব

বিধবাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিলেন শেরপুর পুলিশ সুপার

মো: মঞ্জুরুল আহসান, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০

দেশে উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী সোহাগপুরের বিধবা পল্লীর অসহায় শহিদ পরিবার ও বিধবাদের মাঝে শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম(পিপিএম) খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নালিতাবাড়ীন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল- ৫ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি আলু, আধা কেজি সয়াবিন তেল ও সাবান। শহিদ জায়া, বিরঙ্গনা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা এসব খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুব খুশি হন। ৩৮ জন বিধবা ও শহিদ পরিবারের সদস্য এবং গ্রামের অসহায় ১২ জন মানুষের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

জানা গেছে, জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম (পিপিএম) শুক্রবার বিকেলে এসে হাজির হন সোহাগপুরের বিধবা পল্লীতে। তিনি অসহায় বিধবাদের সাথে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন এবং করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতার পরামর্শ দেন। এছাড়াও তিনি বিধবাদের সব সময় দেখাশোনা করার জন্য নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদলকে নির্দেশ দেন।

১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই পাক বাহিনী হামলা চালায় নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর গ্রামে। গুলি করে হত্যা করে ১৮৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে। বিধবা হয় ৬২ জন গৃহবধু। পরে ২০০৭/২০০৮ সালে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে বেঁচে আছেন ২৭ জন বিধবা। দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে বিধবারা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী পেয়ে তারা খুব সন্তুষ্ট বলে জানা গেছে।

এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com