ভারতীয় দূতাবাস সামনের রাস্তায় ফেলানীর ভাস্কর্য স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্ত আগ্রাসন বিরোধী কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তবব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ফেলানী হত্যা দিবস আমাদের নিজেদের স্বার্থে দু’টি কাজ করতে হবে। দুইটা ভাস্কর্য করতে হবে। একটা কুড়িগ্রামের সীমান্তে, যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর একটা বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তায়।
তিনি বলেন, আমরা কথায় কথায় বলি এটা মুসলমানদের দেশ। আলেম সমাজের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ। তারা গান-বাজনা শুনলে বিয়ে পড়াবেন না, জানাজা পড়াবেন না। এইসব দিকে সময় ব্যয় না করে জনগণের অধিকার আন্দোলনের জন্য সোচ্চার হোন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ একটি প্রতারণার স্বর্গরাজ্য, বাংলাদেশ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য। করোনার প্রতিষেধক ভ্যাকসিন ইউরোপে যেখানে ২ ডলার, আমাদের এখানে সাড়ে ৪ ডালার বা ৫ ডলার। ভ্যাকসিন উৎপাদনে ব্যয় খুব কম। যদি এক ডলার দাম হয় তাহলে ৪০ টাকা লাভ হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যদি ভ্যাকসিনের দাম দুই টাকা হয় তাহলে আমাদের এখানে ৫ ডলার কেন? কারণ আমরা চুরি করি, দুর্নীতি করি, সেই কারণে ভ্যাকসিনের দাম বাড়ছে।’
তিনি বলেন, আজ সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে কেনো আমি ভোট দেবো? কেন আমার ভোট চাই? এই দেশের মালিক আমরা। আমরা সবাই মিলে এই দেশের মালিক। তাই যদি হয় তাহলে দেশের পরিচালনায়, শাসনে আমাদের বক্তব্য রাখার অধিকার থাকতে হবে। সমালোচনা করার অধিকার থাকতে হবে। জবাবদিহি করার অধিকার থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে দখল করা ছাড়াই ভারতের সিকিম রাজ্যে পরিণত হবে। আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত করা ছাড়া মুক্তির উপায় নাই। বাংলাদেশের গণতন্ত্র না আসার একমাত্র কারণ আওয়ামী লীগ নয় বিরোধী দলও সমভাবে দায়ী। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর হক নুর, এনডিএম’র এ চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চৌধুরীহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশী কিশোরি ফেলানি।