মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪২ অপরাহ্ন

চাল-তেলে অস্বস্তি, মাছ-সবজিতে স্বস্তি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২১

বাজারে বেড়েই চলেছে চালের দর। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ টাকার মিনিকেটের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও বেড়েছে লিটারে দুই থেকে চার টাকা। তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মাছ ও সবজির বাজারে। বাজারে আলুসহ কমেছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। সঙ্গে মাছের দামও কমেছে বেশ খানিকটা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ছুটির দিনে ক্রেতা যেমন বেশি তেমনি পণ্যের সরবরাহও বেশ। চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে লিটারে চার টাকা বেড়েছে। আর পাইকারিতে মণপ্রতি বেড়েছে ২০০ টাকা। যা ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১২০-১২৪ টাকা কেজি, যা সপ্তাহখানেক আগে ১১৮-১২০ টাকা ছিল। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ সময় খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৯১-৯৩ টাকা লিটার।
সয়াবিনের মতো পাম তেলের দামও বেড়েছে। পাইকারিতে পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৯০০ টাকা মণ, যা গত সপ্তাহে ১০০ টাকা কম ছিল। খুচরায় পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা লিটার। ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় হওয়ায় দেশের বাজারেও ভোজ্য তেলের দাম বাড়ছে। এর একটি কারণ করোনা মহামারি। দ্বিতীয়টি হলো চীনের বেশি হারে কেনা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই মুহূর্তে সরকারি পদক্ষেপ ছাড়া দামের রাশ টানা কঠিন। ভ্যাট ও ট্যাক্স কমিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
তেলের বাজারের মতো লাগামহীন হয়ে পড়েছিল চালের বাজারও। তবে সরকারের আমদানির খবরে বাজার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। পাইকারি বাজারগুলোতে নাজিরশাইল, ব্রি-২৮সহ কয়েক ধরনের চালে কেজিপ্রতি এক টাকা কমেছে। মিনিকেট, পাইজাম, স্বর্ণাসহ কয়েক ধরনের চালের দাম না কমলেও নতুন করে বাড়েনি। তবে খুচরা বাজারে এখনো তার খুব একটা প্রভাব নেই। বিক্রেতারা বলছেন, দাম কমবে এ আশায় অনেকে দোকানে নতুন করে চাল তুলছেন না। ফলে খুচরা বাজারে দাম স্থির হয়ে আছে।
বাবুবাজারে পাইকারিতে মিনিকেট, নাজিরশাইল ইত্যাদি সরুচাল বিক্রি হয়েছে ৫৯-৬৪ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে ছিল ৬০-৬৮ টাকা। ব্রি-২৮ পাইকারিতে ৪৯ ও খুচরায় ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি। এ ছাড়া স্বর্ণা, গুটি, পাইজামের মতো মাঝারি ও মোটা চালের দাম পাইকারি ও খুচরায় আগের মতোই রয়েছে। পাইকারিতে ৪৬-৪৮ ও খুচরায় ৪৮-৫২ টাকা কেজি। এদিকে তেলের মতো চিনির দামও বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। চিনি এখন ৬৪-৭০ টাকা কেজি। অবশ্য কমেছে মসুর ডালের দাম। মোটা দানার মসুর ডাল কেজিতে পাঁচ টাকা কমে এখন ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট দানার দেশি ডাল কেনা যাচ্ছে ১০৫ টাকা কেজিতে।
চলতি সপ্তাহে কমেছে পেঁয়াজ, আলুসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে এখন ৪০ টাকা। আদা-রসুনের দাম স্থির রয়েছে। আদা ৮০-১২০ টাকা কেজি, রসুন ৮০-১০০ টাকা কেজি। আলুও ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া স্বস্তি রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিমসহ বেশির ভাগ সবজিতেই। চলতি সপ্তাহে দেশি টমেটোর দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া শীত মৌসুমে নদী-নালা শুকিয়ে যাওয়ায় বাজারে দেশি মাছের আমদানি বেড়েছে। দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। পাশাপাশি কমেছে চাষের মাছের দামও। তবে বাজারে খাল বিল নদী ও পুকুরের মাছের সরবরাহ বেশ ভালো। সাগরেও ইলিশ ধরা পড়ছে, তাই বাজারে উঠেছে রুপালি ইলিশ। সে কারণে মাছের দামে স্বস্তিতে ক্রেতারা। বাজারে খাসির মাংস ৭শ ও গরুর মাংস কেজি প্রতি ৪৮০ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com