শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দ্রুত পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়েছে রফতানিমুখী পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। রোববার (১২ এপ্রিল) এক যৌথ ঘোষণায় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় শ্রমিক ও কর্মচারীরা বেতন-ভাতা নিয়ে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার ব্যবস্থা করুন। এক সাথে সমবেত না করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপে ভাগ করে এবং সময় ভাগ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেতন পরিশোধ করার আহ্বান জানায় এই দুই সংগঠন।
এতে বলা হয়, পোশাকশিল্পের সম্মানিত মালিকবৃন্দ সারা বিশ্ব এখন এক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যস্ত। তাই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমাদের শ্রমিক-কর্মচারী ভাই বোনেরাও তাদের বেতন-ভাতা নিয়ে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
এমতাবস্থায় ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে বিনীত অনুরোধ করছি এ মহাসংকটকালে আপনারা আপনাদের গ্রাহকদের শ্রমিকের বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে সহজ শর্তে সহযোগিতা করুন। অনেক স্থানে লকডাউন থাকলেও শ্রমিকদের বেতনের টাকা দেওয়ার জন্য ২-৩ দিন কয়েক ঘণ্টা ব্যাংক খোলা রেখে বেতনের টাকাটা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
পোশাকশিল্পের মালিকদের উদ্দেশ্য বলা হয়, আপনারা যারা এখনও মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেননি যে কোনো পরিস্থিতিতে পরিশোধ করার ব্যবস্থা করুন। এক সাথে সমবেত না করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপে ভাগ করে এবং সময় ভাগ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেতন পরিশোধ করুন। যারা এখনও শ্রমিকদের ব্যাংক বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট করতে পারেননি তারা অতি দ্রুত তা সম্পন্ন করুন। এমএফএস প্রতিষ্ঠান সমূহ ‘নগদ’ ‘রকেট’ ‘বিকাশ’ অ্যাকাউন্ট করার জন্য সর্বপ্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে বিজিএমইএ-বিকেএমইএ’র সহযোগিতা নিন।
মনে রাখবেন ‘শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে, শিল্প থাকলে শ্রমিক বাঁচবে।’ আমরা জানি আপনারা শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে সচেষ্ট আছেন, তারপরও বলবো বিষয়টি অগ্রাধিকার দিন।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র