কুয়েতের আদালতে বর্তমান সংসদের একজন সদস্যের সাজা হওয়ার ঘটনায় সরকারের দুর্নীতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি আরও বলেন, সরকারের টনক না নড়লেও এটি দেশের জন্য লজ্জার। বর্তমান রাতের ভোটের সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া পাপুলের মতো এমপিরা বেপরোয়া দুর্নীতি করার সাহস পেতো না।
গতকাল শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অর্থ ও মানব পাচারের দায়ে কুয়েতে আটক থাকা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদ- দিয়েছে দেশটির আদালত। পাশাপাশি ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে। এ অর্থদ- বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৩ কোটি ২০ লাখ টাকার সমান।
তিনি আরও বলেন, পাপুলের স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালিকার বিরুদ্ধেও শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ হওয়ার পর দুদক ও সরকারের ভূমিকা কিছুদিন আগে জাতির কাছে পরিষ্কার হয়েছে। মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগে যেখানে বিরোধীদলের শীর্ষ নেতাদের জামিন দেয়া হয় না, নানাভাবে হয়রানি করা হয়। সেখানে সরকারের নির্দেশে নিম্ন আদালতেই তাদের জামিন দেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ও টিআইবির রিপোর্ট বলা হয় দুর্নীতির ধারণা সূচকে আগের বছরের তুলনায় আরও দুই ধাপ নিচে নেমেছে বাংলাদেশ। এ তথ্য উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা আগেও বলেছি দুদক হলো বিরোধী দল নির্যাতনের হাতিয়ার আর সরকারি দলের দুর্নীতি ধোয়ার মেশিন। মূলত গণতন্ত্রহীনতার কারণেই বর্তমানে দেশে দুর্নীতি মহামারি আকার ধারণ করেছে। রিজভী আরও বলেন,আসলে আওয়ামী নেতারা আত্মমুগ্ধ, চাটুকারদের প্রতি খুব বেশি সংবেদনশীল আর লোভ আছে অতি মাত্রায়। যে কারণে তারা চোখ থাকতেও অন্ধ হয়ে আছে শুধুমাত্র ক্ষমতার রুটির ভাগের জন্য। কুয়েতের বহুল আলোচিত অর্থ ও মানবপাচার মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের চার বছরের কারাদ- দিয়েছেন দেশটির আদালত। বৃহস্পতিবার দেশটির ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওসমান এ রায় ঘোষণা করেন।