বাংলাদেশ সরকার এদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মুলে এ ব্যতিক্রম ধর্মী কর্মসূচি হাতে নেন। কক্সবাজার মহেশখালীতে জলাতঙ্ক নির্মূলে কুকুরকে টিকাদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স এ হলরুমে বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে ব্যাপক হারে কুকুরসহ বিষাক্ত জন্তুকে টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম ২১বিষয়ক এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহাফুজুল হক। অনুষ্টিত অবহিত করণ সভায় আলোচনা করেন মহেশখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, মহেশখালী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নন্দন কুমার চন্দ্র, মহেশখালী হাসপাতালের আর এমও ডাঃ শিব শেখর ভট্ট্যাচার্য। মুল আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এমভিডি সুপারভাইজার মোঃ সামির হোসেন। উপজেলার ইউনিয়নগুলির চেয়ারম্যান প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য সহকারীগণ উপস্থিক ছিলেন।সভায় জানানো হয় ২০১৯সালের কুকুর নিধন, প্রাণী সম্পদ মারা নিষেধ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য অবগত করেন। উলেখ্য ২০১২সাল থেকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধে কুকুরকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। জলাতঙ্ক রোগ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বানরসহ অনেক প্রাণীর দেহ থেকে ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হলে জীবন বিপন্ন হয়। জানা যায়, সু-দূর রাজধানী ঢাকা থেকে মহেশখালীতে কুকুরকে টিকা দিতে প্রায় ৫৬ জন ডক ক্রস স্প্যাশাল কর্মী ৫ দিন টিকা প্রদান করবেন। মহেশখালী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৩টি করে টিম ও পৌরসভায় ৪ টিমে কুকুরকে টিকা প্রদান করবে। মহেশখালী হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মাহাফুজুল হক জানান, ৩১ জানুয়ারী থেকে কুকুরকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এমন মহৎ উদ্যোগে জনগণের কল্যাণে সমাজের প্রতিটি মানুষ যেন কুকুরকে টিকাদান কাজে আন্তরিকভাবে সহায়তা করেন। তিনি আরো বলেন, জলাতঙ্ক ভাইরাস মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাই দায়িত্ব এবং কর্তব্য।