যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে বয়সের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করেছেন সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
গতকাল বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ১১ নভেম্বর যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হলেও করোনার কারণে পিছিয়ে এ আয়োজন করা হয়।
সবশেষ সম্মেলনের যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে বয়স ৫৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে মির্জা আজম বলেন, ‘আপনার কোনো কর্মী অবসর নিতে চায় না। আমৃত্যু আপনার সঙ্গে কাজ করতে চায়। গত সম্মেলনে আপনি ৫৫ বছরের বাধ্যবাধকতা দিয়ে দিয়েছিলেন। এতে করে অনেককেই অনিচ্ছায় সংগঠন থেকে অবসর নিতে হয়েছে। আমার সামনে একঝাঁক যুব নেতৃত্ব, তাদের অনেকে বয়সের কারণে আগামী সম্মেলনে বাদ যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অনুরোধ- আপনি বয়সের এই বাধ্যবাধকতা তুলে দেন। আর সারাদেশে মহানগর, জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে যুবলীগ থেকে অবসর নেয়া নেতৃত্বকে আওয়ামী লীগে পদায়নের জন্য নির্দেশনা দেবেন।’ একই সঙ্গে যুবলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে একটি ‘সাবেক যুবলীগ ফোরাম’ করারও অনুমতি প্রার্থনা করেন মির্জা আজম।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অংশ নেন যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।