দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এবার দুই বাংলার বাংলাদেশ-ভারতে মিলন মেলা আজ বসছে না। মুলত করোনার কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামীতে আবার শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজত কমিটির সদস্যরা। শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, প্রতি বছর হিলি সীমান্তের শুণ্য আঙিনায় (বাংলাদেশ অংশে) একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এই আয়োজন করা হয়। সেখানে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনার ঘেঁষে বিশাল মঞ্চ তৈরী করা হয়। দুই দেশের রাজনৈতিক, সমাজসেবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের নিয়ে চলে সারাদিন ব্যাপী আলোচনাসভা, গান, নৃত্য আর কবিতার আসর। শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করা হয় ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য আত্মদানকারী সেই সকল শহীদদের। কিছুক্ষণের জন্য হলেও সকল ভেদাভেদ ভুলে যান এই দুই দেশের বাংলা ভাষি মানুষেরা। তবে এবারকার চিত্র ভিন্ন। মহামারী করোনার কারণে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এবার হিলি সীমান্তে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। প্রথম উদ্যোক্তা ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত’র সম্পাদক ও এনটিভির হিলি প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, এবার করোনার কারণে হিলি সীমান্তে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। ইতোমধ্যে ভারতের পশ্চিমবাংলার বালুরঘাট ও আমাদের এখানকার আয়োজকদের সাথে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সীমান্তে এই আয়োজন অব্যাহত রাখতে ওইদিন আমরা ওপার বাংলার আয়োজকদের সাথে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে একুশের আলোচনাসভা অনুষ্ঠান করা হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামীতে আবার হিলি সীমান্তে অনুষ্ঠান করা হবে। ২০১৫ সাল থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হিলি সীমান্তে এই আয়োজন করা হচ্ছে। এদিকে ভারতের পশ্চিমবাংলার বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সুরজ দাশ জানান, ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য শহীদদের স্মরণে আমরা হিলি সীমান্তে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজন করে আসছি। এবার করোনার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বালুরঘাটের তিওড়ে ছোট্ট পরিসরে দিবসটি উদযাপনের আয়োজন করেছি। সেখানে বাংলাদেশের আয়োজকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।