ক্রিকেট মাঠে আগ্রাসী মনোভাবের খেলোয়াড় হিসেবেই পরিচিত ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এতে অবশ্য সফলতাও পাচ্ছে ভারত। তার অধীনেই টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল ভারত। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মতো শীর্ষ দেশগুলোর বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে তারা। তবে মাঠের ভেতরে যতটা আগ্রাসী মনোভাবের, ব্যক্তিগত জীবনে ঠিক ততটাই ঠাণ্ডা মেজাজের মানুষ কোহলি। বর্তমানে ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রীড়াবিদ হলেও, নিজের বাড়িতে কোনো গৃহকর্মী রাখেননি তিনি। বাড়িতে নিজের কাজগুলো নিজেই করতে পছন্দ করেন কোহলি। কোনো মেহমান এলে খাবারও নিজ হাতেই তুলে দেন তিনি।
ব্যক্তি কোহলির এ দিকটি তুলে ধরেছেন ভারতের সাবেক নির্বাচক স্মরণদীপ সিং। স্পোর্টসকীড়ায় দেয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের হয়ে ৩ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডে খেলা এ সাবেক ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আপনারা জানলে অবাক হবেন, কোহলির বাড়িতে কোনো গৃহকর্মী নেই। সে এবং তার স্ত্রী মিলে সবাইকে খাবার তুলে দেয়।’
স্মরণদীপ আরও যোগ করেন, ‘আপনি (কোহলির কাছে) আর কী চাইতে পারেন? বিরাট সবসময় পাশে বসে, আড্ডা দেয়, একসঙ্গে ডিনারে যায়। দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা কোহলিকে অনেক সম্মান করে। সে খুবই নম্র স্বভাবের একজন মানুষ।’ এসময় ভারতের সাবেক নির্বাচক জানান, মূলত অধিনায়ক হওয়ার কারণেই মাঠের ভেতরে বাড়তি আগ্রাসী দেখা কোহলিকে। তার ভাষ্য, ‘মাঠের মধ্যে, তাকে অমন হতে হয়, কারণ সে একটা দলের অধিনায়ক। সে ঐ ব্যক্তি, যাকে মাঠের ভেতর সকল চাপ এবং কঠিন মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ তবে মাঠের বাইরে যে কোহলি অন্যরকম সেটি জোর দিয়েই বলেন স্মরণদীপ। এক্ষেত্রে তিনি টেনে আনেন টিম মিটিংয়ের উদাহরণ, ‘দল নির্বাচনের আলোচনায় কোহলি আসলে সেটা এক-দেড় ঘণ্টা ধরে চলে। সে খুব ভাল শ্রোতা। জানি না মানুষ ওর সম্পর্কে কী এত ভাবে।’ ‘ম্যাচে ওকে দেখবেন ব্যাটিং বা ফিল্ডিংয়ের সময় অনেক আগ্রাসী। তাই হয়তো সবার মনে হ,য় ওর মাথা গরম এবং অহংকারী। কিন্তু মাঠের বাইরে সবসময় ঠান্ডা মাথা ওর। নির্বাচনী আলোচনায় নম্রভাবে কথা বলে। আগে সবার কথা শুনে তারপরে নিজের সিদ্ধান্ত জানায়।’