লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে টমেটো, আলু, সয়াবিন, ভুট্টা ও বাঙ্গী চাষে মনোযোগী হয়েছেন কৃষকেরা। গত বছর মেঘনায় অনাকাক্সিক্ষত জোয়ার ও মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিতে ফসলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। এ বছর তা পুষিয়ে নিতে পুনরায় আলু, বাঙ্গী ও সয়াবিন চাষ শুরু করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষকগন। এদিকে প্রতি বছর সয়াবিন ও বাঙ্গির বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফোটে সেই সাথে তরমুজ চাষের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা তাদের। উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা হাসান ইমাম জানিয়েছেন ইতিমধ্যে সকল প্রকার পরামর্শ সহ দিকনির্দেশনা দিয়ে সয়াবিন উৎপাদনে সফলতা লাভের সকল পন্থা অবলম্বন করছেন। গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রদর্শনী ও সুপরামর্শ দিয়ে আসছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগন। সয়াবিন চাষি আইনুল বেপারি, লোকমান, জাহাঙ্গীর বেপারি, দুলাল সর্দার ও মনির বেপারিসহ কয়েকজন জানান, গত বারের তুলনায় এবার আমাদের সয়াবিন গাছ মজবুত ও সুন্দর হয়ে উঠেছে। যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তবে ভালো ফলনের আশাবাদী আমরা। টমোটু, আলু ও বাঙ্গী চাষি ছিদ্দিক প্রধানিয়া জানান গত বছর মেঘনার জোয়ারে তলিয়ে যাওয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি আমরা। এবার আলুর ফলন অনেকাংশেই ভালো হয়েছে এবং সয়াবিন, বাঙ্গীতেও অধিক ফলনের আশাবাদী। উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন- রায়পুরে সব ধরনের ফসল ও শাকসবজি জম্মে সহজেই। কিন্তু বাদাম, তরমুজ সহ বিভিন্ন শস্য উৎপাদন এ মাটি উপযুক্ত নয়। তবুও আমরা ভালো মানের বীজ ফেলে ভালো ফসল উৎপাদনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তিনি আরও বলেন- গত বছর মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ার ও মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার বিভিন্ন প্রদর্শনী ও সুপরামর্শ দিয়ে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।