বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন

স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদিসহ ও বিশ্ব নেতারা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের সুবর্ণ-জয়ন্তী উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের এ আয়োজনে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পাঁচটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা। বাংলাদেশ সরকারের মুখ্য তথ্য কর্মকর্তা সুরৎ কুমার সরকার বলেন, ‘আমন্ত্রিত সম্মানিত বিদেশী অতিথিদের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও মালদ্বীপের চারজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান পৃথক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ অনুরূপ পৃথক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। মোদি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া ছাড়াও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার পরিদর্শনসহ ঢাকার বাইরে তিনটি স্থানে যাবেন।’ মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিদেশী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ ভিন্ন ভিন্ন তারিখে বাংলাদেশে আসবেন এবং তারপর দেশে ফিরে যাবেন। মোদি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন পরে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফরকারী সকল রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। তবে, ‘তাদের এ সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করা’।
মোমেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার সম্ভাব্য বিষয় নিয়ে অনুমানভিত্তিক খবর প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আগামী ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের দ্বিতীয় দিনে তার সাথে আলোচনা করবেন। তাদের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা এবং সফররত দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনাকালে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশী কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো ধারণা করছে যে চীন, কানাডা ও ফ্রান্সের সরকার প্রধানগণ এবং জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে সরকার ও বাংলাদেশীদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠাবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী উদযাপনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত-বার্ষিকীর সাথে একই বছরে উদযাপিত হতে যাচ্ছে। বিদেশী আমন্ত্রিত সম্মানিত অতিথিরা বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। জাদুঘরটি মূলত স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির বেসরকারি বাসভবন ছিল। এখানেই ১৯৭৫ সালে এক সেনা-অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকা- থেকে তার বড় মেয়ে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। এ সময় তারা এক সংক্ষিপ্ত সফরে জার্মানীতে ছিলেন। বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়।
সফরসূচি অনুযায়ী সকল বিদেশী নেতা মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে যাবেন। বিশেষ সামরিক কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করবেন, রাষ্ট্রীয় ভোজ-সভায় অংশ নেবেন এবং বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর গ্রামে তার মাজার পরিদর্শনে যাবেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকার বাইরে গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় দুটি হিন্দু মন্দির পরিদর্শন করবেন। এই মন্দিরগুলো বিশেষত হিন্দু মাতুয়া সম্প্রদায়ের প্রার্থনার স্থান। এদের একটি বড় অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বাস করে।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ প্রথম শীর্ষ বিদেশী আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ১৭ মার্চ ঢাকায় পৌঁছাবেন। তিনি তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। এরপর ১৯ মার্চ দুই দিনের সফরে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে বাংলাদেশে আসবেন। নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী দুই দিনের সফরে ২২ মার্চ ঢাকা পৌঁছাবেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ ও ২৫ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। মোদি ২৬ মার্চ বাংলাদেশ পৌঁছে পরের দিন দেশে ফিরবেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, বাংলাদেশ মূলত গত বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশত-বাষির্কী বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় পরিকল্পনাটি পরিবর্তন করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com