চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৩৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৫ জনের। করোনাভাইরাস নিয়ে প্রতি মুহূর্তের আপডেট জানানো ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে সবার উপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় ৩৮ হাজার ৯২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এতে আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯০ জন। শুধু নিউইয়র্কে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা এখন ২ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ হাজার ৬৭১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
তবে শনিবার (১৮ এপ্রিল) করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হিসাব দিতে এসে নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে ৫৪০ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন, যা গত দিনগুলোর তুলনায় কিছুটা কম।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে এরপরই রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯১ হাজার ৭২৬ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৬৩৯ জনের।
স্পেনে গত সপ্তাহে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমতে শুরু করলেও এই সপ্তাহে তা বাড়তে শুরু করেছে আবার। বলা হচ্ছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মৃতের হারা বেড়েছে প্রায় তিন শতাংশ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, একেক অঞ্চলে একেকভাবে হিসাব রাখার কারণে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যায় গরমিল হচ্ছে।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে স্পেনের পরই রয়েছে ইতালির অবস্থান। দেশটিতে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তবে করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় দেশ ইতালি। দেশটিতে ২৩ হাজার ২২৭ জন করোনায় মারা গেছে।
প্রথম দিকে চীন থেকে ইরান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ায় ছড়ায় এই ভাইরাসটি। মার্চের শুরুর দিকেই ইতালিতে ব্যাপক হারে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে ইউরোপের বাকি দেশগুলো- স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এর উপস্থিতি বাড়তে থাকে আটলান্টিকের ওপারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
এদিকে আগামী আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের ভ্যাকসিন তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক গঠিত টাস্কফোর্সের প্রধান একজন উপদেষ্টা।
জন বেল নামের ওই উপদেষ্টা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘চলতি সপ্তাহ থেকেই করোনার সম্ভ্যাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করেছেন অস্কফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তবে কবে বাজারে আসবে তার চেয়েও এখন যে প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতার সব পরীক্ষা সম্পন্ন করা।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র