স্বল্প দূরত্বের বাহন হিসেবে সাইকেলের বিকল্প কিছু নেই। গণপরিবহন এড়িয়ে এখন অনেকেই সাইকেলে অভ্যস্ত হচ্ছেন। এটা যেমন প্রকৃতির জন্য ভালো তেমন শরীরের জন্যও ভালো। অনেকেরই ধারণা, মেশিনের এই যুগে সাইকেলের চাহিদা এখন আগের মত নেই। তবে সারা বিশ্বে সাইকেলের চাহিদা এখনো চলমান। সাইকেল নিয়েই নিত্য নতুন গবেষণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার নাসার প্রযুক্তি যোগ করা হচ্ছে সাইকেলের চাকায়।
সেই চাকা ব্যবহার করলে না লাগবে কোন হাওয়া, না থাকবে চাকা ফুটো হওয়ার দুশ্চিন্তা। চাঁদ বা মঙ্গলের মতো ভিন্ন কোনো গ্রহে পাঠানো রোভারের চাকায় বর্তমান প্রযুক্তির টায়ার খুব একটা কার্যকর নয়। অনেক কারণের একটি হলো, কোনোভাবে যদি টায়ার বা টিউব ফুটো হয়ে বাতাস বেরিয়ে যায়, তাহলে পুরো অভিযানই ভেস্তে যাবে। বসে যাওয়া চাকা নিয়ে বালুময় পথে চলবে না রোভার। আর সে কারণেই বাতাসহীন প্রযুক্তির টায়ার উদ্ভাবন করে নাসা। এই চাকা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বাজারজাত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা হয় স্মার্ট টায়ার কোম্পানি। এই চাকাগুলো নিকেল-টাইটানিয়াম অ্যালয় থেকে তৈরি। স্মার্ট টায়ার কোম্পানির ভাষায়, হালকা, নমনীয়, মহাকাশযুগের উপযুক্ত ধাতব, যা কখনো বসে যাবে না, আবার দিব্যি নিখুঁতভাবে চলবে। ভবিষ্যতে এমন উপাদানেই বাইসাইকেলের টায়ার তৈরি হবে বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি। আর নকশাটি এমন যে অন্যান্য বাহনের জন্যও উপযুক্ত।
নাসার প্রকৌশলী সানতো পাদুলা বলেছেন, ভূপৃষ্ঠে চলে এমন যেকোনো বাহনের টায়ার শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার জন্য শেপ মেমোরি অ্যালয় যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। আর সেটা কেবল হিমশৈলের চূড়া মাত্র।