এ সরকারের পতন আসবেই বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া। গত সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এবি পার্টির উদ্যোগে ‘কণ্ঠরোধ, হত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংহতি সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, পুলিশ নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। কিন্তু আমি আমি বলবো, এই সরকার যেসব কর্মকা- করছে এতে সব পুলিশের সম্মতি নেই। অনেকে এ সরকারকে দেখানোর জন্য মানুষের উপর অত্যাচার করছে। কিন্তু সব পুলিশ সরকারের পক্ষে নেই। আমাদের যে নতুন প্রজন্ম আছে তাদেরকে ভুল ভয়-ভীতি দেখিয়ে কোন কিছু করা সম্ভব না। সরকার যতই চেষ্টা করুক ইতিহাস বিকৃতি করতে, ইতিহাস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম মুছে ফেলে দিতে কিন্তু এগুলো কখনোই সম্ভব না। এ সরকারের পতন আসবেই।
যারা নেতৃত্ব দিয়ে সামনে আসবে তাদের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন হবে।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের সব কাজে আমি এগ্রি করি না। কিন্তু এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে যারাই দাঁড়াবে তাদের পেছনে সবাই যেতে রাজি আছে। যারাই রাজপথে নামছে তারা আমাদের সকলের অধিকার রক্ষা করছে। আমাদের বাক স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করছে। হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও যারা মারা গেছে এর প্রতিবাদে হেফাজত কর্মসূচি পালন করবে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। বরং এটা আমাদের জন্য আমাদের জন্য প্রেরণা।
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, আমরা সব সময় ঐক্যের কথা বলি কিন্তু আমাদের এই ঐক্য নিয়ে অনেক সমস্যা আছে। এই সরকারকে হটিয়ে কে ক্ষমতায় বসবে না বসবে এটা পরের বিষয়। এটা জনগণ নির্ধারণ করবে। কিন্তু যারা এই আন্দোলনে যোগ দিতে চায় তাদেরকে সামনে আসতে হবে। সবকিছুতেই ঝুঁকি আছে কিন্তু আমার মনে হয় এখন আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। প্রত্যেকটা মানুষ মনে করে আমি মাথা নিচু করে থাকলে আমাকে কেউ খেয়াল করবে না। কিন্তু একটা একটা করে সবাইকে এ সরকার ধ্বংস করবে।
তিনি বলেন, লেখক মোস্তাকের মতো লোক আমাদের দেশে জন্মেছে আমি এর জন্য গর্বিত। যে মানুষটি শত নির্যাতনের পরে ও তার সহকর্মীকে বলেছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াও। আমরা কোন অন্যায় করিনি। মোস্তাকের মতো দেশে এমন হাজারো মানুষ আছে যারা এই দেশটাকে আবার স্বাধীন করবে, মুক্ত করবে, এমন একটা দেশ তৈরি করবে, যেখানে বিরোধী দল থাকবে, অন্য মতের মানুষ থাকবে, সবাই নিশ্চিন্ত মনে যার যার বাসায় ঘুমাতে পারবে। এমন একটা মুক্ত দেশ হবে।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক প্রমুখ।