রাজধানীর অদূরে সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে গতকাল শনিবার বিকেলে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘেরাও করে রাখা হয়। পুলিশ বলছে, মামুনুলের একজন নারীসহ এখানে অবস্থানের খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর কক্ষটি ঘেরাও করেন। আর মামুনুল হক বলছেন, দ্বিতীয় স্ত্রীসহ অবকাশযাপনে গেলে কিছু লোক তাঁকে নাজেহাল করে। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমান সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এখানে মামুনুল হক একজন নারীকে নিয়ে উঠেছেন, এই খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কিছু নেতা-কর্মী তাঁর কক্ষটি ঘিরে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশও আসে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এখানে রয়েছেন। পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এসেছেন। এদিকে মামুনুলকে ঘেরাওয়ের খবরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ‘রয়েল রিসোর্ট’ নামে ওই অবকাশ যাপনকেন্দ্রটিতে যান। সেখানে মামুনুল সংবাদকর্মীদের বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে অবকাশ যাপনে তিনি ওই রিসোর্টে যান। সেখানে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে। মামুনুল বলেন, ‘মাস্তান প্রকৃতির লোকেরা এসে আমাকে আমার ওয়াইফসহ নাজেহাল করেছে। আমাকে আক্রমণ করেছে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শনিবার দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে যাই। জাদুঘর ঘুরে দেখে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এখানে (রিসোর্টে) আসি।’ ‘শনিবার দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে যাই। জাদুঘর ঘুরে দেখে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এখানে (রিসোর্টে) আসি।’ মামুনুল বলেন, ‘আমার বক্তব্য পরিষ্কার, আমরা এখানে একটু রিফ্রেশমেন্টের জন্য এসেছিলাম।…এখানে অনেক উচ্ছৃঙ্খল লোক এসেছে। আপনারা দেখেছেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’ স্থানীয় আলেমদের কাউকে জানিয়ে তিনি এখানে এসেছেন কি না, জানতে চাইলে মামুনুল বলেন, ‘না, আমি জানাইনি। যেখানে যাই মানুষজন ভিড় করে। এ জন্য আমি একটু আলাদা করে এসেছিলাম।’ গতকাল সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ খবরে জানা যায়, পুলিশ তাকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের হাত থেকে উদ্ধার করে হেফাজত নেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।