হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চ বাড়ানো, সব অধস্তন আদালত খুলে দেওয়ার দাবিতে
হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চ সংখ্যা বাড়ানো এবং সকল অধস্তন আদালত খুলে দেওয়ার দাবিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদীর নেতৃত্বে সাধারণ আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ কর্মসূচি থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় গতকাল সোমবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে সারাদেশে আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে জরুরী বিষয় শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি বেঞ্চ এবং হাইকোর্ট বিভাগে মাত্র চারটি বেঞ্চ বসবে। আর প্রত্যেক জেলা ও মহানগরে একটি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা থাকবে। এ সিদ্ধান্ত সোমবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের কারণে সংক্ষুব্ধ হয়ে আইনজীবীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এ কর্মসূচিতে অ্যাডভোকেট মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী বলেন, ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ পরিচালনায় সক্ষম। কিন্তু এবার লাকডাউনে কেন শুধুমাত্র চারটি বেঞ্চ গঠন করা হলো তা আইনজীবী-বিচারপ্রার্থীরা জানতে চায়। কেন অধস্তন আদালতে একটি মাত্র কোর্ট খোলা রেখে বাকিগুলো বন্ধ রাখা হলো তা ষাট হাজার আইনজীবী জানতে চায়। তিনি প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা লকডাউনের সময়ে সুপ্রিম কোর্টের ৩৫টি বেঞ্চ এবং সকল নিম্ন আদালত ভার্চুয়ালি খোলা রাখার আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের দাবি মানা না হলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গতবছর ২৫ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম চালু হয়। এর আগ পর্যন্ত সাধারণ ছুটির মধ্যে ছিল আদালতগুলো। তবে ভার্চুয়ালি আদালত কার্যক্রম চালুর শুরু দিকে ৩৫/৩৬টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। আর করোনা ভাইরাসের সংক্রমন কমে গেলে পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৫২/৫৩টি হাইকোর্ট বেঞ্চ বসে। এসময় অর্ধেকের বেশি হাইকোর্ট বেঞ্চ ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আর সারা দেশে অধস্তন আদালত পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হয়। অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতেই নিয়মিত আদালত কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।