ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাও গ্রামে এক বাড়িয়ালা সরকারী খাল দখল করে অবৈধ ভাবে পাকা লেট্রিন নির্মান করছে। এতে করে একদিকে পরিবেশ দূষন হচ্ছে অপর দিকে সরকারী জায়গা বেহাত হচ্ছে। প্রশাসনের লোকজন দেখে ও না দেখার ভান করছে। এ বিষয়ে প্রশাসন উদাসিন রয়েছে। বাড়িওয়াল বলছে তার জায়গায় লেট্রিন নির্মান করছে। প্রশাসন বলছে তাদের জানা নেই।জরুরী ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। ছয়গাও গ্রামের ইয়াছিন মিয়া ও ভুক্তভোগীরা জানান, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাও গ্রামের সুজন নামের এক বাড়িয়ালা সরকারী খাল দখল করে পাকা লেট্রিন নির্মান করছে। সে আইনর কোন তোয়াক্কা করছেনা। খালের পাশে বা খালের ভিতর লেট্রিন নির্মান করা যায় কিনা বা বিধান কি এ বিষয়ে তার কোন সম্যক ধারনা নেই। সে পাকা করে বিরাট লেট্রিন র্মিান করছে। সরকারী রাস্তার পাশে সরকারী খালের ভিতর এ ধরনের লেট্রিন যেমন পরিবেশ দূষন করবে তেমনি সরকারী জায়গা বেহাত হয়ে যাবে। প্রশাসনের লোকজন দেখে ও না দেখার ভান করছে। যাতায়ত করে থাকে। তাদের কি এটা নজরে পড়েনি?। এ রাস্তা দিয়ে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার ভুমি ও ওসি ভেদরগঞ্জ থানার ওসি অহরহ শরীয়তপুর জেলা সদরে যাতায়ত করছেন। অথচ কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের লোকজন উদাসিন। এ বাড়িৗয়ালা ভেদরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাশে টাইলস এর দোকান দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে এ অবৈধ লেট্রিন নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসি দাবী করেছেন। বাড়িওয়াল দাবী করছে লেট্রিন নির্মানের জায়গাটা তার। প্রশাসন বলছে লেট্রিন নির্মান করছে বিষয়টি তাদের জানা নেই। এ বিষয়ে প্রশাসন উদাসিন রয়েছে। ছয়গাও গ্রামের ভুক্তভোগী আঃ বারেক সেলিনা বেগম রায়হাদ বলেন,সরকারী জায়গা দখল করে সরকারী খালের ভিতর সুজন লেট্রিন নির্মান করছে। সে আইনের কোন তোয়াক্কা করছেনা। এতে যেমন পরিবেশ দূষন হবে। পাশাপাশি সরকারী জমি বেহাত হচ্ছে। এব্য্যাপারে বাড়িওয়ালা সুজন বলেন, আমি আমার জায়গায় লেট্রিন করছি। যে যা করতে পারে করুক। এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আমি সরেজমিন গিয়ে ব্যবস্থা নিব। ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভির আল নাসিফ বলেন, এ ঘটনাটি আমার জানা নেই। যদি কেউ সরকারী খালের ভিতর লেট্রিন নির্মান করে থাকে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিব।