করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে বিভাগীয় শহর বরিশালসহ জেলার প্রতিটি উপজেলার ক্রেতা সংকটের কারনে লোকসানের মুখে পরেছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চলমান লকডাউন ও রমজানকে ঘিরে লোকজন ঘর থেকে বাহিরে বের হচ্ছেন না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে মৌসুমী ফল তরমুজের চাহিদা কমে গেছে। ক্রেতা কমে যাওয়ার কারনে পাইকারী দোকানে মজুদ করা তরমুজ পচন ধরতে শুরু করেছে। খোঁজনিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা এবার তরমুজের বাম্পার ফলন পেয়েছে। লকডাউনের আগে অধিকাংশ চাষী তাদের খেত বিক্রি করায় এবার তরমুজের ভাল দামও পেয়েছেন। তবে পাইকারী বিক্রেতারা খেত থেকে তরমুজ ক্রয়ের পর ট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন মোকামে পাঠানোর পর পরই লকডাউনের ঘোষনা আসে। যেকারণে লোক সমাগম কমে যাওয়ায় ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। রবিবার দুপুরে উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকারী তরমুজ বিক্রেতারা তাদের দোকানের সামনে ও ভিতরে শত শত তরমুজ সাজিয়ে রেখেছেন। কঠোর লকডাউনের কারণে উপজেলার বিভিন্নস্থানের পাইকারী ক্রেতারা আসতে না পারায় দোকান ভর্তি তরমুজ পরে রয়েছে। পাইকারী তরমুজ ব্যবসায়ী রুহুল আমিন মুন্সি বলেন, লকডাউনের আগে তিনি পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় আট লাখ টাকার তরমুজ ক্রয় করেছেন। হঠাৎ করে কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ায় কোন পাইকার আসতে পারছেন না। যে কারণে এখন খুচরা বিক্রি করতে হচ্ছে। একই বাজারের ব্যবসায়ী আলতাফ বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে তার দোকানে প্রায় তিন লাখ টাকার তরমুজ রয়েছে। উপজেলা সদর থেকে শুরু করে বিভিন্নস্থানের খুচরা বিক্রেতারা তার কাছ থেকে তরমুজ ক্রয় করেন। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে তারা আসতে না পারায় দোকান ভর্তি তরমুজ পরে রয়েছে।