দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। দ্বিতীয় দফার বিধিনিষেধেও একই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীতে। দিন যতই যাচ্ছে রাস্তায় বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি। গণপরিবহন ছাড়া রাজধানীর সড়কে লকডাউনে সব ধরনের যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) চেয়ে রাস্তায় যানবাহন আরো বেশি দেখা গেছে। কোথাও কোথাও যানজট তৈরি হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হবে, রাজধানীতে বিধিনিষেধ আরোপ করাই হয়নি। গণপরিবহন ধর্মঘট চলছে বলে মনে হবে।
অন্যদিকে বিধিনিষেধ চলাকালেও চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। রাস্তায় বের হওয়া অধিকাংশ মানুষই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকে মাস্ক পরলেও তা নামিয়ে রেখেছেন থুতনির নিচে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর ৬০ ফিট এলাকায় রিকশা, সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলের আধিক্য। কোথাও কোথাও আবার যানজট তৈরি হচ্ছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গাড়ির লম্বা সারি। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় চেকপোস্টের সামনে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। রাস্তায় বের হওয়া লোকজন জানান, তাদের পক্ষে ঘরে বসে থাকা আর সম্ভব নয়। যারা বের হয়েছেন তারা সবাই নিজেকে স্বল্প আয়ের মানুষ দাবি করছেন। তারা বলছেন, এত দিন ঘরে বসে থাকলে তো না খেয়েই মরে যেতে হবে। তাই বেঁচে থাকার জন্য রাস্তায় বের হয়েছেন কাজের সন্ধানে।
লকডাউনের পুরোটা সময় ধরে রাজধানীতে রিকশা চালাচ্ছেন ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘কালকের চেয়ে রাস্তায় যানবাহন আজকে বেশি। লকডাউনের শুরুতে যানবাহন রাস্তায় কম আছিল। এহন প্রত্যেক দিন অল্প অল্প করে বাড়তেছে।’ পুলিশের চেকপোস্টের বিষয়ে বলেন, ‘শিশুমেলা থেকে ধানমণ্ডির মধ্যে কলেজ গেট ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় পুলিশের চেক আছে। বেলা ১২টা পরে এই চেক বন্ধ করে দেয়। তারা ঠাণ্ডা জায়গায় যাবো তাই। তহন আবার গাড়ি যেইভাবে চলতেছে, ওইভাবেই চলবো। চেক আবার বিকাল ৪টা বা ৫টার দিকে শুরু হয়ে যায়। বিকালে ২-৩ ঘণ্টা চেক চলে। সন্ধ্যা ৭-৮টার পর আর গাড়ির চাপ থাকে না।’ ওমর ফারুক আরো বলেন, ‘সকালের এই সময়ে গাড়ি সবচেয়ে বেশি। কালকের চেয়ে আজকে অনেক বেশি গাড়ি। বাস ছাড়া সবই চলে। তার মধ্যে স্টাফ বাস চলতেছে, ওইখানে যাত্রীও নিতাছে। দোকানপাটও খোলা।’