জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইয়াছিন আকন কান্দি দড়িবাড়ির নিকট একটি বাঁশের সাকোই ৫ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘ ২৫ বছরে ও একটি ব্রীজ নির্মানের কোন উদ্যোগ নেয়নি কেউ। চরম দুর্ভোগে আছে ঐ সব গ্রামের মানুষ। সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় পাসান দড়ি জানান, জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের ইয়াছিন আকন কান্দি গ্রামে দড়ি বাড়ির নিকট ভাঙ্গায় দীর্ঘ ২৫ বছরে ও একটি ব্রীজ নির্মান করা হয়নি। ফলে ঐ সব গ্রামের হাজার হাজার মানুষ নিজের উদ্যোগে বাশের সাকো দিয়ে যাতায়ত করে থাকে।তাতে মানুষের কষ্টের সীমা নেই। স্বাধীনতা পরবর্তী অনেক এমপি ও চেয়ারম্যান মেম্বার এ এলাকায় জনপ্রতিনিধি হয়ে আসছেন। কেউই এখানে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য ব্যবস্থা করেনি। ফলে একটি বাশের সাকোই পারাপারের জন্য একমাত্র ভরসা অত্র এলাকার মানুষের জন্য। পাশেই একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি উচ্চবিদ্যালয়। সেখানে প্রতিদিন কম করে হলে ও শত শত স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করে থাকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এ সাকো পাড়ি দিয়ে কচিকাচা শিশুরা যাতায়ত করা দুসাধ্য হয়ে পড়ে। তাছাড়া এ এলাকার উৎপাদিত পন্য পরিবহনে অনেক কষ্ট হয়। তাই জরুরী ভিত্তিতে এখানে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণ করা অত্যন্ত আবশ্যক। এ ব্যাপারে স্থানীয় আলী আহম্মেদ দড়ি বলেন, দীর্ঘ ২৫/৩০ বছর যাবত এ ভাঙ্গায় আমরা বাশের সাকো দিয়ে ১২ মাস যাতায়ত করে থাকি। কেউ আমাদের কষ্টের কথা চিন্তা করেনা।জরুরী ভিত্তিতে এখানে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণ করা আবশ্যক। পালেরচর আঃ গনি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতালেব হোসেন বলেন, দড়িবাড়ি ভাঙ্গায় একটি ব্রীজ নির্মানের অভাবে একটি বাশের সাকো দিয়ে সারা বছরই জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়ত করতে হয়। শত শত ছাত্রছাতি এ পথে যাতায়ত করে থাকে। জরুরী ভিত্তিতে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণ করা দরকার। জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী ওয়াদিুজ্জামান বলেন, এখানে একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সয়েল টেষ্ট করা হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্যই এখানে একটি ব্রীজ নির্মান করা হবে।