বরিশালে করোনায় কঠোর লক ডাউনের কারনে চরম বিপাকে পরেছেন জেলার উজিরপুরের মৎস্যচাষীরা। হাট বাজারগুলোতে সাধারন মানুষের উপস্থিতি কম হওয়ার কারনে রমজান মাসেও কম মূল্যে পানি’র দামে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। মাছের দাম কম হওয়ার কারনে অনেক মৎস্য চাষীরা তাদের পুজি হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলার প্রধান মৎস্য ব্যবসায়ী বন্দর হারতা ও শিকারপুর মাছ বাজারে গিয়ে দেখাগেছে মাছ চাষীদের চোখেমূখে অজানা আতংকের ছাপ। অনেকেই আড়তে মাছ নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছেন। চাষীদের করুন দশা’র কথা বলতে গিয়ে মাছের আড়তদাররা চোখের পানি ফেলেছেন। হারতা মৎস্য বাজারে গিয়ে দেখাগেছে মৎস্য খামারীরা মাছ নিয়ে ক্রোতার অপেক্ষায় বসে আছেন। কয়েকজন ক্রেতা আসলেও মাছের দাম কম। এ নিয়ে বেশ চিন্তিত মাছ চাষীরা রবিউল হোসেন(৪৫)। তিনি বলেন তার ঘেরে যে টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে মাছের যে দাম। তাতে মাছ বিক্রি করে তার অর্ধেক টাকাও উঠবে না। আড়তদার ফারুক হোসেন জানিয়েছেন প্রতিবছর মাছ চাষীরা অপেক্ষায় থাকেন রমজান মাসে তাদের ঘের বা পুকুরের মাছ একটু বেশী দামে বিক্রি করবেন। এ বছর করোনা’র লক ডাউনের কারনে মৎস্য চাষীরা মাছ বিক্রি করে সঠিক দাম না পাওয়ার কারনে পুজি হারিয়ে প্রায় পথে বসেছে। শিকারপুর মৎস্য বাজারের আড়তদার আজিজুল হাওলাদার বলেন, বর্তমানের মাছের দাম কম। সে কারনে চাষীরা লোকসান দিয়ে মাছ বিক্রি করতেছে। শিকারপুর মাছের মোকামে মাছ বিক্রি করতে আসা আলী হোসেন(২৭) জানিয়েছেন তিনি ৩টি পুকুরে মাছের চাষাবাদ করেছেন। বৃষ্টির অভাবে বাধ্য হয়ে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। ৩টি পুকুরে তার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হলেও মাছ বিক্রি করে তার ১ লাখ টাকা বের হয়েছে। পানির দামে মাছ বিক্রি করেছেন। তার মতো শত শত মাছ চাষীরা এ বছর লোকসান দিয়ে পুজি হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পথে পথে ঘুরছেন।