করোনার কারণে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ব্যাপক শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু স্থানে শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদের মজুরী অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশী। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড) কোটালীপাড়া উপজেলার দরিদ্র কৃষকদের ধান স্বল্পমূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এতে চাষিদের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। এরই অংশ হিসেবে সোমবার উপজেলার তারাশী বিলে কামাল শেখ নামে এক দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দেওয়া হয়। এর আগে বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড) এর মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব শেখ মো: মনিরুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটার উদ্বোধন করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড) এর পরিচালক মোঃ মাহামুদুন্নবী , উপ-পরিচালক মোঃ তোজাম্মেল হক, আব্দুল গণি মিনা , মোর্শেদ হাসান মোস্তফা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আরাফত জামিল উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড) এর মহাপরিচালক শেখ মো: মনিরুজ্জামান বলেন, এই কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে প্রতি ঘন্টায় ৪ বিঘা জমির ধান কাটা যাবে। সে অনুযায়ী আমরা যদি দৈনিক ৮ ঘন্টা করে ধান কাটি তাহলে ৩২ বিঘা জমির ধান কাটা সম্ভব। আমরা এই ধান কেটে দেওয়ার জন্য ধান চাষীদের কাছ থেকে তেল খরচ বাবদ ১২শত টাকা করে নিবো। তারাশী গ্রামের কৃষক কামাল শেখ বলেন, বর্তমানে আমাদের এলাকায় প্রতি বিঘা জমির ধান কাটা ও মাড়াই করতে প্রায় ৫ হাজার টাকা লেগে যায়। সেখানে বাপার্ড কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কেটে দিতে মাত্র ১২শত টাকা নিচ্ছে। এই কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটায় মাড়াই ও উড়ানোর কোন ঝামেলা নেই। এ ভাবে ধান কেটে দেওয়ায় আমাদের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে।