সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী ‍উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচির ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১

আগামী ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী। তিনি ছিলেন মহান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি ‘শহীদ জিয়া’ বলেই পরিচিত। শোকাবহ এই দিনটি স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মিলাদ মাহফিল, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার, কাপড় বিতরণসহ ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ।

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সক্রিয়ভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ ও সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ডাক নাম ছিল ‘কমল’। বাবা মনসুরুর রহমান ও মা জাহানারা খাতুনের দ্বিতীয় ছেলে কমল ছোটবেলা থেকেই লাজুক ও গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন। বাবার চাকরির সুবাদে কলকাতায় তার বাল্যপাঠ শুরু হয় সেখানকার হেয়ার স্কুলে। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে বাবার সঙ্গে করাচি চলে যান তিনি। জিয়াউর রহমান ছিলেন মেধাবী ছাত্র। ১৯৫৩ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং কমিশন পান ১৯৫৫ সালে। ১৯৬৬ সালে তিনি কাবুলে পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে ইন্সপেক্টর হন এবং একই বছর শেষদিকে কোয়েটা স্টাফ কলেজে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালের অক্টোবরে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্ব দিয়ে তাকে পাঠানো হয় চট্টগ্রামে।
বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা: দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘৩০ মে সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশের মহানগর, জেলা-উপজেলার বিএনপি সকল কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। ২৯ মে বিকেল সাড়ে ৩টায় জিয়ার জীবনের ওপর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভার্চুয়াল আলোচনা হবে। ৩০ মে মহানগর, জেলা-উপজেলা ও পৌর কমিটিগুলো জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। দুস্থ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন তাদের সুবিধা অনুযায়ী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করে বিএনপি কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে। মহানগর জেলা পর্যায়ের কর্মসূচিগুলোতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ব্যক্তিগতভাবে অথবা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com