জেলার ফুলবাড়ীতে চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় পাট চাষিদের মূখে হাসি ফুঠেছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের মাঠে মাঠে দু-চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ। উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় সবুজ পাতা দোল খাচ্ছে মাঠের পর মাঠ। সেই সাথে এখন দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। যেন মাঠ জুড়ে সবুজ রঙে সাজিয়ে তুলিছে প্রকৃতির অপরুপ শোভা। পাটের বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক হারে এ বছর পাট চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুক’ল থাকায় গত বছরের চেয়ে পাটের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এবং এবারও ভালো দামের স্বপ্ন দেখছেন প্রান্তিক চাষিরা।
বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার পাট চাষি মিজানুর রহমান বলেন, ‘এবছর প্রায় ৬ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি এবছরও পাটের ভালো দাম পাবো।’
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক মন্ডল মিয়া জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবছর আড়াই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। পাট চাষে খরচ একটু বেশি হলেও সে তুলনায় লাভ অনেক বেশি।এবার পাটের ফলন ভালই দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানান, এ বছর উপজেলা কৃষি বিভাগ ৭৪৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হলেও মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে এ বছর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে প্রায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন প্রান্তিক চাষিরা। পরিবেশবান্ধব পাটের মোড়কসহ বিভিন্ন কাছে ব্যবহার বেড়ে যাওয়া ও বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় পাট চাষের ঝুঁকছেন কৃষক। আবহাওয়া অনুক’ল থাকায় এবছরও পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আশা করি কৃষকরা তাদের উৎপাদিত স্বপ্নের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারবে।