নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমার প্রতিপক্ষ অপরাজনীতির হোতারা আমাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৬টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে।আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পৌরসভা কার্যালয়ে ২ হাজার গুলি করেছে। এ পর্যন্ত আমাকে ৬ বার হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আমার ১১০ জন নেতাকর্মীকে গুলি করা হয়েছে। সবগুলো আমি ভুলে যাব যদি সরি বলে আমার দলে ফিরে আসে।তিনি শনিবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত ঈদ পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাত ও চা-চক্র অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। সিরাজপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মাইন উদ্দিন পলাশের সভাপতিত্বে ও আ’লীগ নেতা মজিবুর রহমান মোহনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাদের মির্জার অনুসারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু নাছের, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুছ, বসুরহাট পৌরসভা আ’লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের প্রমুখ। মেয়র কাদের মির্জা আরও বলেন, বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কেউ নোংরা মন্তব্য করলে তারা পার পাবেন না। তিনি বলেন, নোয়খালীর রাজনীতি নিয়ে আমাদের মাঝে যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে তার প্রধান কারণ একরাম তন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া। নোয়াখালীর এ অপরাজনীতির হোতা যার হাতের অস্ত্রে আমাদের দুইজনসহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ একরাম চৌধুরীর কারণে নোয়াখালীর আ’লীগের রাজনীতিতে ফাটল তৈরী হয়েছে।এদের সাথে কোন ভাবে রাজনীতি করা যায় না। তিনি আবারও কোম্পানীগঞ্জের প্রতিপক্ষ আ’লীগের রাজনীতিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি ক্ষমা করে দিব, কেউ যদি অতিতের ভুলভ্রান্তি থেকে ফিরে এসে আমাদের সাথে একাত্বতা পোষণ করতে যদি চায়। দরজা খোলা আছে,তবে যোগ্যতা দিয়ে নেতৃত্বে আসতে হবে এবং সকল অপরাধের জন্য সরি বলতেই হবে ক্ষমা না চাইলে কোন ক্ষমা করা হবেনা।