গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও চলছে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং। বিদ্যুতের অব্যাহত ঘনঘন আসা-যাওয়ায় প্রচন্ড খরতাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বিশেষ সভায়ও চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এলাকাবাসী ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একদিকে প্রচন্ড খরতাপ, অন্যদিকে বিদ্যুতের নিয়মিত ঘনঘন আসা যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয় জনজীবন। অব্যাহত বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে কালিয়াকৈর বাসী। বিদ্যুতের লোডশেডিং থেকে বাদ পরেনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী’র প্রোগ্রামও। বৃহস্পতিবার দুপুরে বন বিভাগের জমি অবৈধ দখলমুক্ত করণ, পরিবেশ দুষণ, নদী দখল, দখল রোধ কল্পে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা মিলনায়তনে এ বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এ্যাড. আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আব্দুর রাজ্জাক সরকার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমিন, কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ, বনবিভাগ, পল্লীবিদ্যুৎ অফিস, উপজেলা প্রশাসনের লোকজন। ওই বিশেষ সভা চলাকালীন সময়েও দুই বার বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন আমন্ত্রিত অতিথিরা। ফলে ওই বিশেষ সভাটি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় কালিয়াকৈর জোনাল অফিসের ডিপুটি জেলারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী সোলায়মান হোসেন জানান, আশুলিয়ার কবীরপুর গ্রীডে সমস্যার কারণে মন্ত্রী মহোদয়ের বিশেষ সভায় বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সরাবরাহ লাইনে সমস্যা হলে এবং গ্রীডে সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। তবে বর্তমানে কালিয়াকৈরে কোন ধরণের লোডশেডিং নাই।