করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া পুলিশের এসআই সুলতানুল আরেফিনকে তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর ফকিরপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার (২ মে) বিকালে জেলা পুলিশের গার্ড অব অনার ও আইইডিসিআরের নিয়ম অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
এসআই সুলতানুল আরেফিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ৩০ এপ্রিল করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
ঢাকা থেকে ডিএমপির লাশবাহী গাড়িতে করে সুলতানুল আরেফিনের মরদেহ শনিবার বিকাল পৌনে ৫টায় তার গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। আইইডিসিআরের নিয়ম অনুযায়ী আগে থেকেই কবর খোঁড়া ও জানাজাসহ দাফনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখে জামালপুর সদর থানা পুলিশ। তার মরদেহ গ্রহণ করার পর তাকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার জানান জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামান ও ছয়জন পুলিশ সদস্য। জানাজায় ইমামতি করেন সুলতানুল আরেফিনের ছোট ভাই মেহেদী ইসলাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন মনোনীত আরও ছয়জন মুসল্লি জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সুলতানুল আরেফিন মিরপুরে পুলিশ কোয়ার্টারে একা থাকতেন। ময়মনসিংহে পুলিশ লাইন্স এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, তিন মেয়ে ও এক ছেলে।
জানাজার ঘণ্টাখানেক আগে জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন সুলতানুল আরেফিনের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েসহ নিকটাত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা এবং এসআই সুলতানুল আরেফিনের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।