মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন

ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম

টি.এম মনোয়ার হোসেন ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১

ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৯৮১ সালে নির্মিত হয়। ৩১ শয্যার এই হাসপাতালটি ২০১১ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোঃ নাসিম ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষনা দেন। কিন্তু ভবন সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হলেও আসবাবপত্র ছাড়া কিছুই বরাদ্দ হয়নি। বর্তমানে ১০০ শয্যা তো দুরের কথা, ৩১ শয্যার সুযোগ সুবিধাও এ হাসাপতালে নেই। তাছাড়া উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার এই হাসপাতালটিতে রয়েছে চরম চিকিৎসক সংকট। চিকিৎসকরা প্রায়ই বদলী ও ট্রেনিং সহ নানান অজুহাতে যার যার সুবিধা মত চলে যায়। তারউপর পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া, কাঠালিয়া, কাউখালী ও রাজাপুর উপজেলার রোগীরাও চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আশায় এই হাসপাতালটিতে ভিড় করে। যার ফলে সংকটের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। হাসপাতালে জুনিয়ার কনসালট্যান্ট সার্জারী, জুনিয়র কনসালট্যান্ট মেডিসিন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি এন্ড অবস, জুনিয়র কনসালট্যান্ট এ্যানেসথেসিয়া ও একজন মেডিকেল অফিসার সহ ৭জন চিকিৎসকের পদ শূণ্য রয়েছে। চতুর্থ শ্রেনীর ২০টি পদের মধ্যে ৭টি পদ শূণ্য রয়েছে। যার ফলে রোগিদের ভোগান্তি সহ চিকিৎসা সেবা চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বেলাল হোসেন জানান, হাসপাতালটি কাগজে কলমে ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও মূলত ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ননী গোপাল হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ও কর্মচারী সংকটের কথা স্বীকার করেন এবং সংকট সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ অব্যহত রেখেছেন বলে জানান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com