দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের আগের দিন বুধবার (৩০ জুন) দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে ছিল উভয়মুখী যাত্রীর চাপ। ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ফেরিঘাটে যাত্রীদের বেশি ভিড় ছিল। যাত্রীর চাপ সামলাতে নৌপথে সকাল থেকে চলাচল করছে ১৫টি ফেরি। এতে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়েছেন যাত্রীরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকে কর্মস্থল ছেড়ে নিজ গ্রামে ফিরছেন। তারা সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে করে শিমুলিয়ায় ভিড় জমান। আবার অনেককে স্থায়ীভাবে মালামাল নিয়ে গ্রামে ফিরতে দেখা যায়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লকডাউনে ঢাকায় থেকে তাদের কিছু করার থাকবে না। কাজ না করলে বেতনও দেবে না। তাই তারা বাড়িতে ফিরছেন।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান জানান, ভোর থেকে ফেরিতে কয়েকটি করে গাড়ির সঙ্গে হাজারো যাত্রী পার হয়েছেও। যাত্রীদের ফেরি থেকে দূরে রাখা যায়নি। কোনও ধরনের নিষেধ না শুনেই তারা জোরপূর্বক ফেরিতে প্রবেশ করে। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. জাকির হোসেন জানান, ঘাটে ছোট গাড়ি রানিং আছে। আর ফেরি পারের অপেক্ষায় পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের সংখ্যা ৩০টির মতো রয়েছে। যাত্রীর ভিড় আছে বলে জানান তিনি।