জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে বসেছিল সাপ্তাহিক পশুর হাট। ্হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ মানছিলো না স্বাস্থ্যবিধি। গতকাল রবিবার পৌর এলাকার বাউশি বাজারে বসা হাটের এ চিত্র দেখা গেছে। ঈদকে সামনে রেখে সাপ্তাহিক এ পশুর হাটে হাজারো মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিলো না মাস্ক। লকডাউনের মধ্যে সরকার ও প্রশাসন যখন স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে; তখন পশুর হাট বসিয়েছিল হাট মালিক। এ হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলে করোনা সংক্রমণ বিস্তার ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রবিবার সকাল থেকে বাউশি বাজারে পশুর হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু কেনাবেচা করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে কেনাবেচা। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে ছিল না মাস্ক। কারও কারও সঙ্গে মাস্ক থাকলেও ছিল পকেট ও থুতুনির নিচে। এ ব্যপারে মাস্ক বিহিন গরু ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন ও মোহাম্মদ আলী বেপারির সাথে কথা হলে তারা বলেন, মাস্ক পকেটে আছে। গরমের কারনে পড়ি নাই। আরো অনেকেই তো পড়ে নাই। এতে তো কেউ কিছু বলে না। পশুর হাটে উপস্থিত সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রকিবুল হক বলেন, হাট তো আর বন্ধ করা যাবেনা। স্বাস্থ্যবিধি যাতে মেনে চলে সেটা বাস্তবায়ন করতে পুলিশ কাজ করছে। হাট ইজারাদার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, উপজেলার অনেক জায়গাতেই পশুসহ সব ধরনের হাট বাজার চলছে। পৌরসভার মেয়র ও প্রশাসনের সাথে কথা বলেই আমরা হাট পরিচালনা করছি। তবে স্বাস্থ্যবিধি যাতে সবাই মেনে চলে তার জন্য মাইকে প্রচার করা অব্যহত রেখেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশুর হাট চলবে। ঐ পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করবে স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ।