কয়েক দিনের টানা বর্ষনে পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর শহরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ শতাধিক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। বর্তমানে কয়কদিন বৃষ্টি না হওয়ায় উজানের পানি কমতি থাকলেও নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌর শহর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলের বিঘ্নসৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। এত বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে অনেক পরিবারও। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের সেন্টমেরিজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। গাজিরভিটা ইউনিয়নে সুর্যপুর বোরাঘাট ব্রীজ সংলগ্ন নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ভেসে গেছে মুরগীর খামার, বালি পলি মাটিতে নষ্ট হয়েছে কৃষকের শত শত একর ফসলী জমি। কৃষি জমিতে প্রচুর বালি-পলি মাটি ও উজান থেকে ভেসে আসা বড় বড় গাছ জমিতে প্রবেশ করায় সীমানার জটিলতা দেখা দিয়েছে। প্রবল এই বর্ষনে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্টীলের ও পাকা ব্রীজ হুমকির মূখে রয়েছে। ব্রীজের পাশে বড় বড় গর্ত হওয়ায় দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ। উপজেলার সীমান্তবর্তী ভারতের গাছুয়াপাড়া দিয়ে লক্ষিকুড়া, কড়ইতলী ও বিজিবি ক্যাম্প হয়ে মেনংচরি নদী কংশ নদীতে প্রবাহিত হয়েছে। নদীর দুইপাশে বাড়িঘর ও বড় বড় গাছ লাগিয়ে দখল করায় পাহাড়ি ঢলের পানি আটকে থাকে। ফলে মুহুর্থেই বাড়িঘর তলিয়ে যায়। নদী খনন সহ দুপাশে দখল মুক্ত করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে উপজেলার প্রশানের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা। এ দিকে উপজেলা প্রশানের আয়োজনে সেন্টমেরিজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে ৫০টি পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসান (রাজস্ব) সমর কান্তি বসাক। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, পৌর মেয়র খায়রুল আলম ভুঞা, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবিরুল ইসলাম বেগ,সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক মোর্শেদ আনোয়ার খোকন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলাল উদ্দিন, উপ-সহকারী প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম সহ আরো অনেকেই।