লক্ষ্মীপুরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার মেঘনানদীর পাড়। দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠতো এই স্থানটি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে এখন জনমানুষ শূন্য এই স্থান। পর্যটক শূন্য অবস্থায় শুনশান নীরবতা মেঘনা উপকূলীর এই আকর্ষণীয় স্থান। ঐতিহাসিক এই স্থানের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে প্রতিদিন এখানে জমায়েত হতো হাজার-হাজার দর্শনার্থী। ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিনিয়ত ছুটে আসতো হাজারো দর্শনার্থীরা। তাদের ভিড় ও জনসমাগমে মুখরিত থাকতে রামগতি উপজেলার পৌর শহর আলেকজান্ডারের এই নদী পাড়ে। এখন দর্শনার্থীদের নেই কোন ভিড়। লকডাউনের পূর্বে কেউ পরিবার কেউ বা বন্ধু বান্ধব নিয়ে ছুটে আসতেন এখানে। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে গত ১ লা জুলাই থেকে এক সাপ্তাহের কঠোর লকডাউনের কারনে এখন শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে। লকডাউন ঘোষণার আগে পর্যটকদের ঢল নামতো এখানে। এবার জনশূন্য অবস্থায় সেই আলেকজান্ডারের মেঘনানদীর তীর। লকডাউনের ফাঁদে পড়ে নদীর তীরে গড়ে ওঠা ছোট বড় ব্যাবসায়ীরা দিন পার করছে কষ্টে মধ্যে দিয়ে। পর্যটকদের ঘিরে তাদের বেচাকেনা জমে ঊঠতো। অনেকে দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ঘুরতে আসলে বেচাকেনা জমজমাট ছিল। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মেঘনার তীরে সব ধরনের জন সাধারনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে এখনকার ছোট বড় ব্যাবসায়ীদের মাঝে নেমে এসেছে চরম হতাশা। তারা তাদের সংসার ও পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যাবসয়ী এই প্রতিবেদককে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোমিন জানান, করোনা মহামারীর কারনে মেঘনার তীরে জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মেঘনা নদীর তীর খুলে দেওয়া হবে।