থেমে নেই সরকারি জায়গা দখল। পর্যায়ক্রমে দখল হয়ে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে মূল্যবান জমি। উপজেলার তালতলা থেকে কুমারিয়া বাজার পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় শত শত কোটি টাকার জায়গা অবৈধ দখলে চলে গেছে। এক শ্রেণির স্থানীয় প্রভাবশালীরা এ সরকারি জায়গা দখল করে দখলসত্ত্ব মোটা অংকের অর্থের বিনিময় হস্তান্তর করছে। বলুগা তেঁতুলিয়া খালের পশ্চিমপাড়ের অধিকাংশ জায়গা দখলে নিয়ে বসত ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, পুকুর, মসজিদ, পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছেন স্থানীয়রা। আবার অনেকে বালু-মাটি দিয়ে ভরাট করে রাতারাতি বহুতল পাকা স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। যেভাবে সরকারি জায়গা দখল হচ্ছে কয়েক বছর পর কাশিয়ানীর উপজেলার বলুগা খালের পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গার অস্তিত্ব খুঁেজ পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও এসব সম্পত্তি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই। বর্তমান কিছু জায়গা দখলমুক্ত থাকলেও দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় আর কতদিন অবশিষ্ট জায়গা দখল মুক্ত থাকবে তা অনিশ্চিত। কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। সরেজমিনে উপজেলার তালতলা সড়ক ধরে এগোতেই চোখে পড়ে দু’বছর আগে যেসব জায়গায় কোন জনবসতি ছিল না। সেখানে শত শত ঘর-বাড়ি, পাকা স্থাপনা, মসজিদ-মাদ্রাসার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে যে যার মতো করে দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। এভাবে ওইসব এলাকায় সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছেন স্থানীয়রা। এসব দখল প্রক্রিয়ার নেপথ্যে রয়েছেন কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এদিকে, উপজেলার রামদিয়া বাজার থেকে ধীরাইল পর্যন্ত স্থানীয় প্রভাবশালীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বসত বাড়ি, কহুতল ভবন, আরসিসি পিলার দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করে দখলে রেখেছেন। রামদিয়া বাজারে প্রতিনিয়তই খাল দখল করে এককের পর এক গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। পাউবোর সরকারি জায়গা দখলকারী কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ‘সবাই সরকারি জায়গা দখল করে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ও বহুতল ভবন গড়ে তুলেছে। আমরা করলে সমস্যা কী?। সরকার যখন জায়গা ছেড়ে দিতে বললে জায়গা ছেড়ে দেব।’ নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, ‘চোখের সামনে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। এসব সম্পত্তি স্থানীয় কিছু লোকেরা গরীব-অসহায় মানুষদের মাধ্যমে দখল করিয়ে পরে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছে। এসব সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে সরকারের বেগ পেতে হবে।’ স্থানীয়রা জানায়, এবসব দখলদারদের কাছ থেকে লাভবান হচ্ছে সংশ্লিটরা। তারা মাঝে মধ্যে গোপালগঞ্জ থেকে আসে আবার দেখে চলে যায়। কাউকে বাধা পর্যন্ত দেয় না। তবে দখলদারদের সাথে কথাবার্তা বলতে দেখা যায়। গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফইজুর রহমানকে মোবাইল ফোনে ফোন করে অবৈধ্য দখলদারদের কথা বলতেই তিনি ফোন কেটে দেন। আবার কথার বলার চেষ্টা করলে তিনি কথা কথা বলবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়।