সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আগুরিয়া হাট খোলা যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণে ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগে বালুর পরিবর্তে মাটি ভরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের বিষয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। স্থানীয় সাংবাদিকগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর কাজ সম্পন্ন না করে শনিবার রাতের আধারে ঠিকাদারের ম্যানেজার খোকনসহ শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। শনিবার (১১ জুলাই) সকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিও ব্যাগে বালুর পরিবর্তে পাশেই ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ব্যাগ ভরাট করছে। ডাম্পিং না করেই জিও ব্যাগ ফেলে কোন রকম ভরাট করছে। কাজ হিসাবে যতটুকু করার কথা তার ৪ ভাগের ১ ভাগ কাজ হয়নি। স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ও স্থানীয় প্রতিনিধি শফি খাঁন ও রাজাপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের যোগসাজোশে এই জিও ব্যাগে মাটি ভরাট করা হয়। শফি খাঁ এই জিও ব্যাগের মাটি সরবারহ করতেন বলে জানান। ৩ হাজার ব্যাগ ভরাট করার কথা তাকলেও ১৫ শত ব্যাগ ভরাট করা হয়েছে। তারা আরও জানান,পাউবো বোর্ড প্রকল্পে যে কাজ হয়েছে তা একদম নি¤œ মানের এতে বর্ষা মৌসুমে উপজেলা আগুরিয়া হাটখোলা গ্রাম ও আমবাড়িয়া গ্রামের মেইন রাস্তাসহ সব ধরনের অবকাঠামো যমুনার ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে বলে স্থানীয়রা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কেন রাতের আধারে পালিয়ে গেলো এ বিষয় তারা এখন পর্যন্ত কিছু জানেনা তবে দায়িত্বরত তদারকি কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন,কেন কাজ বন্ধ হলো তা পরে জানানো হবে। কথা হয় মাটি সরবরাহকারী শফি খাঁনের সাথে তিনি বলেন,আমি স্থানীয় প্রতিনিধি হিসাবে দেখাশোনা করেছি। জরুরি কাজ হচ্ছে এই জন্য বালু পাওয়া যাচ্ছে না তাই মাটি সরবারহ করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডে ওয়ার্ক সহকারী নুরুল ইসলাম বলেন,ঠিকাদারের ম্যানেজার খোকনকে আমি বার বার বলেছি মাটি মিশ্র বালু চলবেনা। জিও ব্যাগ ভরাট করা নিষেধ করা হয়েছে কিন্তু তারা কোন কথা শোনেনি। অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদারের ম্যানেজার খোকনের কাছে জানতে জাইলে তিনি বলেন, এটা সচিব স্যারের বন্ধুর কাজ এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না। রাজাপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন,আমি শুধু জিও ব্যাগ কত গুলো ভরাট করা হলো সে গুলো দেখাশোনা দায়িত্বে আছি। বালুর পরিবর্তে পাশ থেকে ফসলি জমির মাটি কেটে জিও ব্যাগে ভরাট করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেন নাই। রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ প্রতিবেদককে বলেন, আগুরিয়াতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করবে জানি,তবে কবে থেকে কাজ করছে সেটা আমাকে অবগত করেননি। এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলার নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান প্রতিবেদকে বলেন, এ রকম অনিয়মের অভিযোগ পেলে উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।