জাজিরা উপজেলায় বড়কান্দি ও পালেরচর ইউনিয়নে ভাংগন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষথেকে জিওব্যাগ ও জিও টিউব ডাম্পিং করা শুরু হয়েছে। গত বুধবার থেকে বড়কান্দি ইউনিয়নে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন বনিক এ খবর নিশ্চিত করেছেন। সরেজমিন ঘুরে ও শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্র জানায়, চলতি বর্ষা মৌসুম শুরুর সাথে সাথে জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ও পালেরচর, বিলাসপুরের কাজিয়ারচর, নাওডোবা এলাকায় ব্যাপক ভাংগন দেখা দেয়। ইতোমধ্যে ঐ ইউনিয়নে প্রায় দুইশত পরিবার বাড়ি-ঘর সহ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো। তারা বাপ-দাদার ভিটে মাটি ফেলে কোথাও দুরবর্তী জায়গায় উচু জমিতে ঘর বানিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছে। বিশেষ করে জুলাই মাস শুরুর সাথে সাথে পদ্মানদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বড়কান্দি ইউনিয়নের রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি, খলিফা কান্দি ও দুর্গারহাট গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের ঘর বাড়ি ফসলী জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা সহ দুই শতাধিক পরিবার পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বিকে মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও দূর্গারহাট বাজার হুমকির মুখে রয়েছে।ঐ সব এলাকায় বিশেষ করে ভাংগন রোধের জন্য শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষনিক ভাবে জিওব্যাগ ও জিও টিউব ডাম্পিং কাজ হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে মাঝিরঘাট জিরো পয়েন্ট ৪৫০ মিটার প্লাসাইটিং করে ২ হাজার ৬০০ ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। কাজিরহাট ডোবলদিয়া এলাকায় ডান ও বাম তীরে ৩০০ মিটার এলাকায় ১হাজার ৬০০ জিওব্যাগ ডাম্পিং, পৈলান মোল্যার কান্দি ৩০০ মিটার ২৪ হাজার জিওব্যাগ কাজ চলমান রয়েছে। কুন্ডেরচর ই্উনিয়নের সিডারচর ও বাবুরচর ৬০০মিটার এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। বিলাসপুরের কাজিয়ার চর ¯কুলের নিকট ২০০মিটার এলাকায় ৪ হাজার ৪০০ জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে। বড়কান্দি ২২৫ মিটার এলাকায় ১৭ হাজার ৪০০ জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে বড়কান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর আমাদের এলাকায় বর্ষা মৌসুম শুরুতে ব্যাপক ভাবে ভাংগন দেখা দেয়। চলতি বর্ষায় প্রায় দুই শতাধিক পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েগেছে।দুদিন যাবত পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করেছে। এ এলাকায় নদী শাসন করে স্থায়ী বেড়িবাধ নির্মান করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, বড় কান্দি ও পালেরচর সহ জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পদ্মানদী বেষ্ঠিত এলাকায় ভাংগন দেখা দেয়। ভাংগন রোধের জন্য ইতোমধ্যে আমরা জিওব্যাগ ও জিওটিউব ডাম্পিং কাজ শুরু করেছি। আশা করছি ডাম্পিং কাজ শেষ হলে ভাংগনের তীব্রতা কমে যাবে।