প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি, দৈনিক ইনকিলাবের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিনিধি মিজানুর রহমান তোতা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। শনিবার সকালে যশোর আড়াশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মিজানুর রহমান তোতা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এরমধ্যে তার ব্রেনস্ট্রোক হয়। শনিবার বাদ জোহর যশোর শহরের নূতন খয়েরতলা জামে মসজিদে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মিজানুর রহমান তোতার জন্ম ঝিনাইদহে। ঝিনাইদহ কে সি কলেজে পড়াকালে তিনি জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। পরে যশোর থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক স্ফুলিঙ্গের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। পরে তিনি দৈনিক আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেন। দৈনিক ইনকিলাব বাজারে আসার পর তিনি তাতে যোগদান করেন। আমৃত্যু তিনি ইনকিলাবেই ছিলেন। অবিভক্ত যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা ছাড়াও তিনি প্রেসক্লাব যশোরের একাধিকবারের সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কয়েক বছর আগে ব্রেনস্ট্রোকে তার শরীরের একাংশ প্রায় অকেজো হয়ে যায়। এর পর তিনি আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় করোনা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এর কয়েকদিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো তার ব্রেনস্ট্রোক হয়। ওইদিন তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের ডাক্তাররা তাকে কোভিড-১৯ রোগী বলে শনাক্ত করেন। পরীক্ষায় দেখা যায় তার ফুসফুসের প্রায় ৬৫ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে। সাথে সাথেই তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা রেডজোনে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই সময় করোনা রেডজোন থেকে বের করে তার স্ট্রোকের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। মিজানুর রহমান তোতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সম্পাদক আহসান কবীর, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দৌল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি এম.আইউব ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজী আহম্মেদ সাঈদ বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক এইচআর তুহিন। এছাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক এই শীর্ষ নেতার মৃত্যুতে প্রেসক্লাব ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন এবং শোকবই খোলা হয়েছে। এর আগে সকালে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মিজানুর রহমান তোতার মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন, সাবেক কাউন্সিলর মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তা, শহর আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, মিজানুর রহমান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের রবিউল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজামান মিঠু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, আমিনিয়া আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা নূরুল ইসলাম প্রমুখ।