লকডাউন উপেক্ষা করে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মুন্সীগঞ্জের মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে সকাল থেকে দেখা দিয়েছে উভয়মুখি যাত্রী ও যানবাহনের ভিড়। গতকাল সোমবার ভোররাত থেকে গাদাগাদি করে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হতে দেখা গেছে ফেরিগুলোয়। লকডাউনের প্রথম দিনের তুলনায় সোমবার যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়েছে ঘাট এলাকায়। তবে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ ছিল অনেকটাই চোখে পড়ার মতো। এ সময় ঢাকামুখী প্রাইভেটকারসহ ঘাট এলাকায় দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। অপরদিকে হেটে হিলশা পর্যন্ত মানুষের যাওয়ার দৃশ্যও চোখে পরার মতো। এছাড়াও ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে প্রায় শতাধিক ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহন। পরিবহন সঙ্কটে ঢাকামুখী যাত্রীদের পোহাতে হয়েছে বাড়তি ভোগান্তি। তাই দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটেই তাদের পৌঁছতে হচ্ছে গন্তব্যে।
আগামী ৫ তারিখ পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধি-নিষেধের সময় আরো বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় আজও ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে দক্ষিণাঞ্চললগামী অনেক মানুষকে। এছাড়াও ঢাকার বেসরকারি কিছু কিছু কর্মস্থল খোলার সিদ্ধান্তে মালিকপক্ষের চাপে পড়ে অনেককেই ফিরতে হচ্ছে ঢাকায়। তবে লকডাউনে বাস্তবায়নসহ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ঘাট এলাকায় ছিল পুলিশ ও বিজিবি বাড়তি নজরদারি। বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের টার্মিনাল ব্যবস্থাপক মো: ফয়সাল জানান, নৌরুটে বর্তমানে ছয়টি ফেরি দিয়ে সীমিত পরিসরে চলছে যাৎদরী ও যানবাহন পারাপার। তবে সকাল থেকে ঘাট এলাকায় বাড়ি ফেরা ও ঢাকামুখী যাত্রীদের ছিল বাড়তি চাপ।